ছাপুর থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত বিজেপির মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী।
কিছু দিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিংহ। শিল্পাঞ্চলে গেরুয়া শিবিরের হালও ছন্নছাড়া। সেখানেই মিছিল ও সভা করে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূল আবার ‘ভোট লুট’ করলে ২০২৪ সালে এ রাজ্যে বিজেপির আসন-সংখ্যা ১৮ থেকে বেড়ে ৩৬ হবে! এমন দাবিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
অর্জুনের তালুকে ইছাপুরের রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত রবিবার ‘মহামিছিলে’র ডাক দিয়েছিল বিজেপি। ঘোষপাড়া রোড ধরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে ওই মিছিলে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতোই। মিছিলে ছিলেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক ও দলের নানা স্তরের নেতৃত্ব। মিছিল উপলক্ষে ঘোযপাড়া রোড গেরুয়া পতাকায় মুড়ে দিয়েছিল বিজেপি। মিছিল এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাতে ভিড়ও বাড়তে দেখা দিয়েছে। যা দেখে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘মোদীজি ২০১৯ সালে মোদি টিকিট দিয়েছিলেন বলেই দলীয় প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। আর এই মিছিলে ভিড় প্রমাণ করে দিয়েছে, ব্যারাকপুর এখনও আগের মতো পদ্মেরই আছে।’’
মিছিল শেষে সভায় এ দিন শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে ভোট লুট করেছিল বলে ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল। ওরা আগামী দিনে (পঞ্চায়েত বা স্থানীয় নির্বাচন) ভোট লুট করলে ২০২৪ সালে বিজেপি লোকসভায় ৩৬টি আসন পাবে!’’ লোকসভা ভোটের বছর ২০২৪-এই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়ে যাবে বলেও ফের মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের নেতা তাপস রায়ের অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘ওরা প্রশাসনে ব্যর্থ প্রমাণিত হচ্ছে। সংগঠন ভেঙে যাচ্ছে। একের পর এক জনপ্রতিনিধি, নেতা দল ছাড়ছেন। এই অবস্থায় অবশিষ্টদের ধরে রাখতে এ ছাড়া আর কী করার থাকে? আরএসএস দুই (বাংলায় লোকসভায় সম্ভাব্য আসন জয়ের সংখ্যা) মনে করছে ঠিকই, এ রাজ্যে এ বার লোকসভা ভোটে শূন্যও হয়ে যেতে পারে বিজেপি!’’
বিতর্কের প্রেক্ষিতে এখন সেনায় নিয়োগের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের সমর্থনে নেমেছেন বিজেপি নেতারা। বর্ধমানে গিয়ে এ দিন যেমন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের উস্কানিতে কোথাও কোথাও অশান্তি হচ্ছে, ঝামেলা হচ্ছে। তবে এত ভাল প্রকল্প চালু হলে উপকৃত হবেন বেকাররা।’’ শ্যামনগরে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘যারা বাস, ট্রেন ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে, তাদের আর সেনা বাহিনীতে চাকরি হবে না, তা সেনাপ্রধান জানিয়ে দিয়েছেন। আর এখানে সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, হোম গার্ডদের স্থায়ী করে দেখাক রাজ্য সরকার, তার পরে ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে ওরা কেন্দ্রের সমালোচনা করবে!’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।