গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিজেপি-র টিকিটে লড়ে বিধায়ক হওয়া মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'যত দ্রুত সম্ভব মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিল করার আর্জি জানাচ্ছি।'
সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে সপুত্র মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের যোগ দেওয়ার পরও তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েননি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে বিজেপি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু স্পষ্ট ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন দল এ এই নিয়ে যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ করবে।
বিজেপি ছেড়ে একের পর এক নেতা নেত্রী ফের তাঁদের পুরনো ঘর তৃণমূলে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সেই তালিকায় সবচয়ে বড় নাম মুকুল। কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে এ বারের নির্বাচনে দাঁড় করানো হয়েছিল মুকুলকে। সেখান থেকে তিনি ৫৪.১৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেওছেন। কিন্তু তার পরই আচমকা বিজেপি ছাড়েন মুকুল। যদিও দলের একাংশের মতে, বিধানসভা ভোট থেকেই দলের সঙ্গে নানা বিষয়ে দূরত্ব বাড়ে মুকুলের। জল্পনাও চলছিল তিনি তাঁর পুরনো গড়ে ফিরে যেতে পারেন। শেষমেশ গেলেনও তাই।
মকুল দলত্যাগ করার পরে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। অভিযোগ তুলেছিলেন দলত্যাগবিরোধী আইন না মেনে মুকুল দল ছেড়েছেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, '‘মুকুল রায়কে দিয়ে যা শুরু হল, তা দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে হয়নি। দু’মাস হোক, তিন মাস হোক, বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় এই আইন কার্যকর করে ছাড়ব আমি।'’ গত ১২ জুন ঘাটালে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দেন, বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর। শুধু বিধায়ক পদই নয়, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদও তিনি ছাড়েননি বলে দলীয় সূত্রে খবর। এর পরই প্রকাশ্যে এল ওই চিঠি।