শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রদবদলের পরে প্রথম বৈঠক তৃণমূলের কোঅর্ডিনেশন কমিটির। কিন্তু সে বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু অধিকারী। একা শুভেন্দু অবশ্য নন, কমিটির ২১ সদস্যের মধ্যে মোট ৪ জন গরহাজির ছিলেন এ দিনের বৈঠকে। তাঁদের মধ্যে একজন কোয়রান্টিনে থাকার কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান। তবে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নবগঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শুভেন্দুর অনুপস্থিতির কারণ খুব স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা হয়নি দলের তরফে।
সদ্য খুব বড় রদবদল হয়েছে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাঠামোয়। ২৩ জুলাই ভার্চুয়াল বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রদবদল ঘটান দলে। নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে দিন একটি ২১ জনের কমিটি গড়ে দেন। সেটিই কোঅর্ডিনেশন কমিটি। সাংগঠনিক কাজ দেখভালের দায়িত্ব মূলত ওই কমিটির উপরে থাকবে বলেই জানানো হয়। সেই কমিটির থেকে ৭ জনকে নিয়ে আবার স্টিয়ারিং কমিটি গড়ে দেন মমতা। ওই স্টিয়ারিং কমিটি হল কার্যত রাজ্য স্তরের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি।
শুভেন্দু অধিকারীকে দু’টি কমিটিতেই রাখা হয়েছে। কিন্তু রদবদলের ৮ দিনের মাথায় কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠকে শুভেন্দুকে দেখা গেল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় শুভেন্দু এখনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ বা তাঁর ক্ষোভ-অসন্তোষ নিয়ে নানা জল্পনা বেশ কিছু দিন ধরেই ছড়াচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সেনাপতি ছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান বদলে যেতে পারে কি না, তা নিয়েও রাজ্যজোড়া গুঞ্জন রয়েছে। তাই কোঅর্ডিনেশন কমিটি এবং স্টিয়ারিং কমিটিতে থাকা সত্ত্বেও প্রথম বৈঠকে তাঁর গরহাজিরা সেই সব জল্পনা এবং গুঞ্জনে ইন্ধন জুগিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭০ হাজারের গণ্ডি পার রাজ্যে, ২৪ ঘণ্টাতেও সংক্রমণের রেকর্ড
কমিটির ২১ সদস্যের মধ্যে ১৭ জন এ দিন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলভবনে হওয়া বৈঠকটিতে। শুভেন্দু ছাড়া যাঁরা গরহাজির ছিলেন, তাঁরা হলেন হিতেন বর্মণ, দেবু টুডু এবং মৃগাঙ্ক মাহাতো। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে দেবু টুডু কোয়রান্টিনে রয়েছেন বলে অনুপস্থিত ৪ জনের মধ্যে ১ জন কিছু প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতার কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলেও জানা গিয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতির কারণ স্পষ্ট নয়।
তৃণমূল সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কমিটির অন্য সদস্যদের কথা হয়েছে এবং পরের বৈঠকগুলোয় তিনি থাকবেন বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন। শুভেন্দুর অনুপস্থিতির বিশেষ কোনও তাৎপর্য খোঁজার দরকার নেই— এমনই বার্তা এ দিন দিতে চাওয়া হয়েছে তৃণমূল সূত্রে।