তমলুকে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি— নিজস্ব চিত্র।
দল বদলের জল্পনার জেরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির অনেক নেতা। তবে এতেও তাঁর জনপ্রিয়তায় তেমন ভাটা পড়েনি। শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলাসদর তমলুকে শুভেন্দুর ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচি ছিল ভিড়ে ঠাসা। তাঁর মুখে এদিন কোনও রাজনৈতিক কথা শোনা যায়নি।
সকাল ১১.৩০-এ তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে এসে পৌঁছন শুভেন্দু। সেখানে তখন কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত। প্রথমে হাসপাতাল মোড়ের ক্ষুদিরাম মূর্তিতে মালা দেন। এরপর নিজের অনুরাগী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করেন হ্যামিল্টন স্কুলের উদ্দেশ্যে।
প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হ্যামিল্টন স্কুলে পৌঁছান তিনি। স্কুল চত্বরে রাখা প্রাক্তন ছাত্র ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দিয়ে স্কুলের মাঠে ‘তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি’ আয়োজিত সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আজ শহিদ ক্ষুদিরামের ১৩১তম জন্মদিন। দিনটি প্রতি বছর মর্যাদার সঙ্গে পালন হয়। ১৯০৮ সালের ১১ অগস্ট স্বাধীনতা আন্দোলনের শহিদ ক্ষুদিরাম বসু আত্মবলিদান দিয়েছিলেন অত্যন্ত অল্প বয়সে। তাঁকে আমরা শ্রদ্ধা করি।’’
ক্ষুদিরাম বসু কেশপুরের মোহবনিতে জন্মে ছিলেন। তাঁর পড়াশোনা তমলুকের শহরের হ্যামিল্টন স্কুলে। ১৯৪২ সালের ১৭ নভেম্বর তমলুকেই সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গও এসেছে শুভেন্দুর বক্তৃতায়। তবে দ্রুত সভা শেষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এর পর গড়বেতায় ‘ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা সমিতি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমাকে যেতে হবে। তাই বক্তব্য দীর্ঘায়িত করছি না।’’
আরও পড়ুন: ক্ষুদিরামের জন্মদিনে তমলুকে শুভেন্দু, দাদার অনুগামীদের অন্য মিছিল হলদিয়ায়
বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর কর্মসূচিতে ছিলেন হলদিয়ার তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী এবং সদস্য সোমনাথ ভুঁইয়া। তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দত্ত এবং চন্দন দে-সহ স্থানীয় অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মীও মিছিল এবং সভায় যোগ দেন। যদিও জেলার কোনও তৃণমূল বিধায়ককে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতায় ফের শুভেন্দুর পোস্টার, পদ ছাড়া কাজের বার্তা