নালায় পড়ে রয়েছে শুভেন্দুর ফ্লেক্স।
বিকেলেই হলদিয়া ব্লকে সভা রয়েছে সদ্য তৃণমূল-ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীর। তার কিছু ক্ষণ আগেই মহিষাদলে তাঁর ফ্লেক্স ছেঁড়ার ঘটনা সামনে এল। তৃণমূলের লোকজনই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে অযথা তাদের নাম জড়ানো হচ্ছে বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর এখনও একমাস কাটেনি। তার মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনী ভিত মজবুত করতে মাঠে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু। বড় কোনও বিজেপি নেতার ছত্রছায়ায় না থেকে একক ভাবেই নানা জায়গায় সভা করছেন তিনি।
সেই মতো এ দিন বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ব্লকের দ্বারিবেড়িয়া বাজারে জনসভা করার কথা তাঁর। তার আগেই পার্শ্ববর্তী মহিষাদলে একদল মানুষ শুভেন্দুর প্রতি আক্রোশে ফেটে পড়েন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তেরপেখ্যা মোড় সংলগ্ন এলাকায় শুভেন্দুর একাধিক ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়। কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলা হয় তাঁর কাটআউটগুলিকেও। তার পর সব তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের নালায় ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ, অবস্থা স্থিতিশীল: স্নেহাশিস
বিজেপি-র মহিষাদল এলাকার মণ্ডল সভাপতি বিজন পাণিগ্রাহী বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে মহিষাদলের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি-র ফ্লেক্স ছেঁড়া হচ্ছে। আজ সকালেও তেমনই ঘটেছে। শুভেন্দু অধিকারীর বেশ কিছু ফ্লেস্ক ছিঁড়ে রাস্তার পাশের নালায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’
হলদিয়া ব্লকের সভা ঘিরে এই মুহূর্তে ফুটছেন বিজেপি সমর্থকরা। স্থানীয় নেতারা সকলেই শুভেন্দুর কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজন। একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সর্বত্র সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।’’
তবে এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে গেরুয়া শিবির থেকে অভিযোগ উড়ে এলেও, তৃণমূল নেতৃত্বের সাফ জবাব, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এমনটা ঘটিয়ে থাকতে পারে। মহিষাদলে সব দল নিশ্চিন্তে নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করে। সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিবেশ নেই। অযথা এতে তৃণমূলের নাম জড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত মমতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী মানিক
তবে শুভেন্দুর পর গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এখন যে সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যে ভাবে দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছে এবং শিশির অধিকারী নিজে যে ভাবে তৃণমূল-কে ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব’ দেওয়ার কথা বলেছেন, তাতে তাঁদের প্রতি তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।