DA Protest

‘ডাকুন নবান্ন অভিযান, আমি থাকব’, মঙ্গল-সকালে ডিএ মঞ্চে গিয়ে সরকারি কর্মীদের বার্তা শুভেন্দুর

মঙ্গলবার সকালে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যান শুভেন্দু। আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি থাকব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৬
Share:

ডিএ মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে অবস্থানে বসা সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দীর্ঘ দিন ধরেই শহিদ মিনার ময়দানে ডিএ-র দাবিতে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তার সদস্যদের একাংশ আমরণ অনশন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই সেই অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা। আন্দোলনকারীদের পাশে বসেই রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। অন্য দিকে, রাজ্যের দাবি, ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য চার শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখতে বলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি থাকব।” আন্দোলনকারীদের কিছু হলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না বলেও রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, “এদের যদি কিছু হয়, আগুন জ্বলবে বাংলায়।” রাজ্য সরকারের ‘দুর্নীতি’তে প্রশ্রয় দেননি বলেই ডিএ আন্দোলনকারীদের উপর বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। ডিএ আন্দোলনে বিজেপির ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ আছে বলেও জানান তিনি।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ইতিমধ্যেই চার শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন বেতন কাঠামো কার্যকরও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। শাসক তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারীদের ডিএ মেটানোর চেষ্টা করছেন।

Advertisement

১৯ জানুয়ারি কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী দেখা করে সমস্যার সমাধান না করলে অনশনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তার পরই ২৯ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি অফিসে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। গত ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পরও এই মুহূর্তে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement