বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঠানো আইনি নোটিস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী মারফত পাঠানো জবাবে শুভেন্দু সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্বই অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগ নিয়ে দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের চিঠি পাঠানোর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নিজের ফোন সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
বিজেপির একটি সভায় দাঁড়িয়ে শাহ-মমতার ওই টেলিফোন কথোপকথন সম্পর্কিত দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। সেই দাবি নাকচ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওই কথোপকথনের প্রমাণ দিতে পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তৃণমূলের তরফেও শুভেন্দুর অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তাঁকে আইনি নোটিস দেওয়া হয়। জবাবি চিঠিতে শুভেন্দুর আইনজীবী এ দিন বলেছেন, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ওই আইনি নোটিস দেওয়া হলেও ওই নামে এখন আর কোনও দল নেই। তা ছাড়া, এক জনের মানহানি নিয়ে অন্য কারও আইনি নোটিসের অধিকার নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দুর এই জবাব নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শুভেন্দু প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন সংক্রান্ত প্রমাণ আছে বলে যে কুৎসা করেছিলেন, সেই প্রমাণ দিন। তৃণমূল সর্বভারতীয় কি না, তা দেখার দায়িত্ব অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির নয়। ওটা আমরা অন্য জায়গায় বুঝে নেব।’’