এ বার কি সুপ্রিম কোর্টে মুখোমুখি হবেন রাজীব সিংহ এবং শুভেন্দু অধিকারী। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে কোনও বাড়তি সুযোগ দিতে রাজি নন শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা হাই কোর্ট রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিল। রাজীব সেই রুলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় আগেভাগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু।
সেই পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই রাজীবের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছিল শুভেন্দুর। নির্বাচন ঘিরে অশান্তির আবহে কমিশনার রাজীবের যোগ্যতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। এমনকি, রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ধামাধারী’ বলেও কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। ওই পর্বেই হাই কোর্টে রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও করেছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলাতেই গত সপ্তাহে একটি রুল জারি করে কলকাতা হাই কোর্ট।
শুভেন্দুর মামলার প্রেক্ষিতে রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১৩ অক্টোবর হাই কোর্ট ওই রুল জারি করার ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছিলেন তিনি।
সেই রুলকে চ্যালেঞ্জ করে রাজীব সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন ভেবে তাই আগেভাগেই সেখানে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু। এর ফলে ফলে রাজীব যদি মামলা করেন, তবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। সময়সীমাও বেঁধে দেয়। শুভেন্দুর অভিযোগ, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে আদালত অবমাননা করেছে তারা। গত শুক্রবার এই মামলাতেই আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।