বিপর্যয়ের পর সিকিমের পরিস্থিতি। ছবি: পিটিআই।
মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম ধীরে ধীরে তার চেনা ছন্দে ফিরছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে ছাপ ফেলে গিয়েছে তা ভয়াবহ। গ্রামের বহু ঘরবাড়ি তিস্তার স্রোতে ভেসে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর।
সোমবার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। বিপর্যয়ের ফলে যাঁরা বাস্তুহারা হয়েছেন, তাঁদের জন্য দু’রকমের ‘হাউসিং স্কিম’ চালু করা হয়েছে।
সিকিমের স্কুলপড়ুয়াদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সিকিম প্রশাসন। যে সকল স্কুলপড়ুয়া বিপর্যয়ের ফলে বই-খাতা এবং পড়াশোনা সংক্রান্ত অন্যান্য সামগ্রী হারিয়ে ফেলেছে, তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
শুধু তাই নয়, যে পড়ুয়ারা বাড়ি ভাড়া করে থাকে তাদের অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সিকিম সরকার। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়ে যায় সে জন্য রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে যে, সেখানকার সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি যেন অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা শুরু করে।
তবে অনলাইন ক্লাসের সুযোগ-সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা। সিকিমের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।