ফাইল চিত্র।
অনুমতি ছিল না। নিজের বিধানসভা এলাকাতেই পুলিশের বাধার মুখে তাই প্রাক্-স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে বাইক র্যালি করতে পারলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রামের বিধায়ক পুলিশকে রাজ্য সরকারের ‘দলদাস’ বলে কটাক্ষ করলেন। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের ডিজি, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার এবং মিছিলে বাধাদানকারী হলদিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পান্ডের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।
স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে ‘হর ঘর মে তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে শুক্রবার নন্দীগ্রামে এই মোটরবাইক র্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি। গোকুলনগরের তেখালি সেতু থেকে শুরু হয়ে বাইক মিছিল রেয়াপাড়ায় বিজেপি কার্যালয় পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার পথ যাবে বলে ঠিক ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, মিছিলের অনুমতি না থাকায় এ দিন দুপুরেই তেখালি সেতুতে বিশাল পুলিশবাহিনী যায়। নেতৃত্বে ছিলেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পান্ডে এবং হলদিয়ার এসডিপিও রহুল পান্ডে। বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ শুভেন্দু গোকুলনগরের দলীয় কার্যালয়ে আসেন। তিনি বাইক মিছিলের সূচনা করতে যেতেই পুলিশ বাধা দেয়। বচসা বাধে। শেষমেশ র্যালি করতে না পেরে নিজের গাড়িতে শুভেন্দুকে রেয়াপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে যেতে হয়। পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একটা দেশাত্মবোধক কর্মসূচি, যেখানে দলীয় পতাকা নয়, ভারতের পতাকা বহন করছিলেন আমাদের কর্মীরা, পিসির পুলিশ সেই কর্মসূচি করতে দেয়নি। মনে হচ্ছে পরাধীন দেশে বাস করছি, যেখানে স্বাধীনতার গৌরব উদ্যাপনেও পুলিশ বাধা দেয়।’’ শুভেন্দুর মতে, বাইকের কাগজ ঠিক রয়েছে কি না, চালকরা হেলমেট পরছেন কি না, পুলিশ তা দেখলেই পারত। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘‘এই হচ্ছে দলদাস পিসির পুলিশ। এর বিরুদ্ধে ১৬ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হব। রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে পিটিশন করব। ই-মেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও অভিযোগ জানাব।’’ এদিন রাতেই অমিত শাহকে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা পরপর গ্রেফতার হওয়ায় প্রতিহিংসায় এ সব করা হচ্ছে।
পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, কয়েকশো মোটরবাইক নিয়ে হাজারখানেক কর্মী-সমর্থকের র্যালি অনুমতি ছাড়া করতে দেওয়া যায় না। হলদিয়ার এসডিপিও বলছেন, ‘‘ওই র্যালির জন্য আগাম অনুমতি নেওয়া হয়নি। উনি (শুভেন্দু) আইনগত সমস্যাকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসাবে দেখাতে চাইছেন।’’