শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটিতে তাদের না থাকার সিদ্ধান্ত ঘিরে সিপিএমকে খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই প্রশ্নেই সিপিএমকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গেই ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের দায় কার্যত চাপিয়ে দিলেন সিপিএমেরই ঘাড়ে! পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএমও।
দলীয় কর্মসূচিতে সিউড়িতে গিয়ে মঙ্গলবার শুভেন্দু ‘ইন্ডিয়া’র কমিটি সংক্রান্ত প্রশ্নে বলেছেন, ‘‘এর কারণ হচ্ছে সিপিএম রাজ্যে তৃণমূলকে রাখতে চায়। সিপিএম রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলেছে দিল্লিতে একসঙ্গে থাকব। আর এখানে আলাদা। এক জায়গায় দোস্তি, অন্য জায়গায় কুস্তি!’’ সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, ‘‘ধূপগুড়িতে আমরা চার হাজার ৫০০ ভোটে হেরেছি।। সেখানে সিপিএমের প্রার্থী ১৩ হাজার ভোট কেটেছেন। এই ১৩ হাজারের মধ্যে ১২ হাজার ৬০০ হিন্দু ভোট। সেই হিন্দু ভোট ভাগের দায়িত্ব নিয়েছে সিপিএম। শুধু এই চোর তৃণমূল, পিসি-ভাইপোর রাজত্ব যাতে চলে, তার জন্য ভোট কাটুয়া পার্টি হিসেবে সিপিএম দ্বিচারিতার রাজনীতি করছে!’’
শুভেন্দুর এই আক্রমণকে তাঁর ‘হতাশার আস্ফালন’ হিসেবেই দেখছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘সিপিএমের ভরসায় বিজেপি ভোটে লড়তে গিয়েছিল জেনে লোকে তো হাসবে! ধূপগুড়িতে আমাদের ভোট যেমন বলার মতো বাড়েনি, তেমন কমেওনি। কিন্তু বিজেপির ভোট গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ১১ হাজার ৩৮৪ কমেছে। সে দিকে দেখুন শুভেন্দুবাবুরা!’’ সুজনের আরও সংযোজন, ‘‘রাজ্যে চোরের রাজত্ব চালিয়ে যেতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য তো করছে বিজেপি! অতীতের সারদা-নারদ হোক বা এখনকার দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় সংস্থা কেমন কাজ করছে, আদালতেই রোজ বোঝা যাচ্ছে। শুভেন্দুবাবুরা কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে জবাব দিন আগে!’’ প্রসঙ্গত, কমিটিতে সিপিএমের না থাকা প্রসঙ্গে অভিষেক সোমবারই বলেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমমনোভাবাপন্ন সব দলকেই তাঁরা পাশে চেয়েছেন, সিপিএম কী করবে, তা তাদের ব্যাপার।’’