সবংয়ের সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম বার তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মানস ভুঁইয়ার গড়ে পা রেখে তাঁকে ‘রাবণ’ বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। জোড়াফুল শিবিরের দুর্গ সবংয়ে আগামী বিধানসভা ভোটে পদ্মফুল ফুটবে বলে বুধবার সবংয়ের তেমাথানি এলাকার সভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ওই বিজেপি নেতা।
বুধবার শুভেন্দু দাবি করেন, তিনি না থাকলে সবংয়ে জিততে পারতেন না মানস ভুঁইয়ার স্ত্রী গীতা। সেই সূত্র ধরেই শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘সবংয়ের রাবণ নিজের ভাই বিকাশ ভুঁইয়া এবং তাঁর সহযোগী অমল পণ্ডাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের সহধর্মিণীকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন।’’ প্রসঙ্গত রাজ্যসভায় সাংসদ হয়ে যাওয়ার পর মানসের ছেড়ে যাওয়া আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হন তাঁর স্ত্রী গীতা। তৃণমূলের টিকিটে ওই আসন থেকে জয় পান গীতা। বুধবার অবশ্য মানসকে আক্রমণ-পর্বে অবশ্য এক বারের জন্যও তাঁর নাম উল্লেখ করেননি শুভেন্দু। তবে তাঁর লক্ষ্য যে কে তা স্পষ্ট।
২০০৯ সালে মঙ্গলকোটে গিয়ে সিপিএমের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মানস। বুধবার সেই ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। সবংয়ে শুভেন্দুর মূল নিশানা ছিলেন মানস। তবে তার বাইরে বেরিয়ে স্বকীয় মেজাজে আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলকে ‘প্রাইভেট কোম্পানি’ও বলেছেন। এ দিন মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সম্পর্কে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ভারতী ঘোষ একজন দক্ষ অফিসার ছিলেন। তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে কী ভাবে হারানো হয়েছে তা সকলেরই জানা।’’ সে সময় অবশ্য শুভেন্দু তৃণমূলের ছিলেন। বক্তব্যে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন ভারতীও।
আরও পড়ুন: উইপোকারা বেরিয়ে গেলেই ভাল হয়, সোহমের কটাক্ষ কি সেই শুভেন্দুকেই
আরও পড়ুন: মিম, বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মোকাবিলার বার্তা অধীরের
বুধবারের সভায় বিজেপি কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সরব গেরুয়া শিবির। মানস ভুঁইয়ার অবশ্য দাবি, ‘‘মঙ্গলবার সবংয়ে ছিলাম না, কলকাতায় ছিলাম। বুধবার সকাল থেকে পিংলায় বৈঠক করছি বুথে বুথে। এ সব মিথ্যা অভিযোগ।’’ শুভেন্দুকে জবাব দিতে আগামী শুক্রবার তেমাথানিতে এলাকাতেই তৃণমূল সভা করবে বলে জানিয়েছেন মানস।