ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় জল জমার কারণ নিয়ে সম্প্রতি সেচ দফতরের কাজের দিকে আঙুল তুলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসকের সেই অভিযোগেরই যেন পাল্টা আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বললেন, ‘‘দুয়ারে গঙ্গা, দুয়ারে বন্যা আগে সামাল দিন উনি।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফিরহাদ বলেছিলেন, “কলকাতা পৌরনিগমের তরফে গত মন্ত্রিসভা থাকার সময়েই সেচ দফতরকে শহর সংলগ্ন খালগুলোর একটা তালিকা তৈরি করে সংস্কারের জন্য বারবার বলেছিলাম । মন্ত্রিমশাই দু‘-একটি জায়গায় লোক পাঠিয়ে পরিদর্শন করান। কিন্তু সংস্কার হয়নি। ড্রেজিংয়ের কোনও কাজই হয়নি।’’
রবিবারের বিতর্ক অবশ্য শুরু হয় অন্য প্রসঙ্গে। ফি বছর ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করে দলের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণ করে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গেই রবিবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বিজেপি-কে প্রত্যাখান করেছেন, এখন বাহানা করে বেরোচ্ছে। এই দিবস, ওই দিবস পালন করা হচ্ছে। হুঙ্কার দিয়ে বলছে, ৩৫৬ ধারা ও অন্যান্য কিছুর ভয় দেখাচ্ছে।’’ পরিবহণমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে আছেন। আর এঁরা সমর্থন হারিয়েছেন। কারণ, মেরে দেব, দেখে নেব বলাটা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়। যাঁর জোরে এ সব করছে সেই কেন্দ্রেও বিজেপি ২০২৪ সালে হেরে যাবে।’’ এরই জবাব দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ফিরহাদকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু।
টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার অনেক এলাকায় জল জমে রয়েছে। সেটাকেই ইস্যু করেই ববিকে পাল্টা দিতে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আগে ওঁকে বলুন কলকাতা শহরে জমে থাকা জল বের করতে। কী ভাবে জল বের করা হবে, আগে সেটা ঠিক করা হোক। এখন তো দুয়ারে গঙ্গা, দুয়ারে বন্যা চলছে। তাই এত কথা না বলে আগে জল বের করুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমপানের সময় কী হয়েছিল আমরা সকলেই দেখেছি। তাই এখন কথা না বলে দুয়ারে গঙ্গা সামাল দিক।’’ শুভেন্দু তৃণমূল ত্যাগের পর থেকেই ফিরহাদের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ সামনে আসে। সম্প্রতি অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির অভিযোগ এনেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন ফিরহাদ।