নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দু অধিকারীর। নিজস্ব চিত্র
মুখে বললেন, ‘‘রাজনীতির কথা বলব না।’’ কিন্তু মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম বাজারে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগে ঠারেঠোরে তৃণমূলকেই নিশানা করলেন সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম বাজারে বজরংবলীর পুজোয় যোগ দেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া থেকে জানকী মন্দির পর্যন্ত ‘অরাজনৈতিক’ মিছিলেও পা মেলান। কিন্তু নন্দীগ্রামেরই ভুতার মোড় এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ নিয়ে তাল কেটেছে অনুষ্ঠানের। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরেই তিনি বলেন, ‘‘ওরা গাড়ি ভেঙেছে। ১৫ জনকে মেরেছে। ওটা আমার উপর ছেড়ে দিন।’’ এর পরেই বলেন, ‘‘বিবিধের মাঝে মিলন মহান-ই ভারতবর্ষের ঐতিহ্য। আমরা সেই ঐতিহ্য আমরা নিশ্চয় মেনে নেব। কিন্তু আমাদের দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন রাতে ফের নন্দীগ্রামে পা রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নাম না করে মঙ্গলবার ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন শুভেন্দু। তাঁর ছবিতে কালি দেওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘যাদের পেটে এখনও আমার ভাত আছে তাঁরা আমার ছবিতে কালি দিচ্ছে। ওদের অপরাধ নেই। তোলাবাজ ভাইপোর অফিস থেকে বলছে, ‘এমনটা কর, আর ছবি পাঠা’। কিন্তু ভোটের দিন আমি প্রমাণ করে দেব, নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে আমি আছি কি না।’’
আরও পড়ুন: ‘এ বার বহিরাগত দেখলেই থানায় অভিযোগ জানান’, নয়া কৌশল মমতার
আরও পড়ুন: শাহি-ভোজনের সেই বাসুদেব বাউলই গান ধরলেন মমতার বোলপুরের মঞ্চে
তাৎপর্য পূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার নিজের ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি সনাতন ধর্মের সেবক। আমার পরিবার ব্রাহ্মণ। আমি সূর্য প্রণাম, গায়ত্রী মন্ত্র পড়ে বাড়ি থেকে বার হই।’’