উদ্ধার হওয়া রাইফেল, কার্তুজ এবং সাইলেন্সার। নিজস্ব চিত্র।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শিকার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার কাছ থেকে ২-টি রাইফেল, ২-টি সাইলেন্সার এবং ২৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন (১৯৭২)-এর ৫১/১ ধারায় ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের স্পেশাল ফোর্সের বনকর্মীরা হানা দেন আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত বনচুকামারি গ্রামে। স্থানীয় গ্রামবাসী পরিমল বর্মণকে (৪২) জেরা করে বনদপ্তরের স্পেশাল ফোর্স। তার বয়ানের ভিত্তিতে পরিমলের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা প্লাস্টিকে মোড়া রাইফেল এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় পরিমলকে।
বনদফতর- সূত্রে জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত চিলাপাতা রেঞ্জের জঙ্গলে একটি মাদি গন্ডারের চোরাশিকারে ব্যাবহৃত হয়েছিল এই অস্ত্র। গত ৪- এপ্রিল জঙ্গলে উদ্ধার হয়েছিল খড়গ কাটা ওই গন্ডারের দেহ। তদন্তে নেমে গত ৫ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়েছিল স্থানীয় তিন জনকে। তাদের জেরা করেই এই চোরাশিকারি পরিমলের সন্ধান মেলে বলে বন দফতরের দাবি। বন দফতরের ধারণা, পরিমল-সহ ধৃত ৪ জন অসম থেকে আসা চোরাশিকারি এবং পাচারকারি দলের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেছিল।