উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমীক্ষা জঙ্গলমহলে

তাতে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কতখানি হয়?

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জন্য বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্যের বহু দফতর। কিন্তু তাতে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কতখানি হয়?

Advertisement

এক জায়গায় সেই তথ্য জানার উপায় বিশেষ নেই। সেই তথ্য জানার ভাবনা থেকে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই)-কে দিয়ে এই প্রথম জঙ্গলমহলের জেলাগুলির উপরে সমীক্ষা-ভিত্তিক একটি রিপোর্ট তৈরি করাচ্ছে উদ্যান দফতর। মূল উদ্দেশ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে পশ্চিমাঞ্চলের পরিবারগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি কতটা হচ্ছে, তার একটি পরিষ্কার ছবি পাওয়া। সেখানকার বাসিন্দাদের আর কী ধরনের প্রকল্পের চাহিদা রয়েছে, তা খুঁজে বার করাও এই সমীক্ষার অন্যতম লক্ষ্য।

বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় উদ্যান দফতরের বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু আছে। সেই সব উন্নয়ন প্রকল্পে সাধারণ মানুষের কী উপকার হচ্ছে, অন্য কিছুর প্রয়োজন আছে কি না, বাসিন্দাদের চাহিদা কী, অন্য কোনও প্রকল্পের পরিকল্পনা করা যায় কি না ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হবে এই সমীক্ষায়। চলতি (২০১৮-’১৯) অর্থবর্ষের শেষে আইএসআই-এর রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। উদ্যান দফতর সূত্রের খবর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় ইতিমধ্যে ওই সমীক্ষার কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

উদ্যান দফতরের কর্তারা জানান, কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের উদ্যোগে বাঁকুড়ায় বিভিন্ন ধরনের আম চাষের চেষ্টা চলছে। তাতে ভাল ফল মিলেছে। লাভবান হচ্ছেন আমচাষিরা। গত বছর উদ্যান দফতর পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ১০ লক্ষেরও বেশি বিভিন্ন ফলের চারা গাছ বণ্টন করেছে। তার মধ্যে আম ছাড়াও পেয়ারা, লেবু, মুসুম্বি, বেদানা প্রভৃতি ফলের গাছ ছিল। প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে ফল চাষের ব্যবস্থা হয়। পঞ্চায়েত-সহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে গাছের চারা বণ্টনের পাশাপাশি চাষিদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিলি করা চারাগাছের ৯০ শতাংশই বেঁচে গিয়েছে। অনেক জায়গায় ফলনও শুরু হয়েছে।

এর ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সাধারণ মানুষের কী উপকার হচ্ছে, সেটাই এখন দেখার। আইএসআই-কে দিয়ে সামগ্রিক ভাবে যে সমীক্ষা করা হচ্ছে, তাতে এটা দেখা হবে বলে জানান উদ্যান দফতরের এক কর্তা। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়ার পরে মানুষের চাহিদা বুঝে কোথায় কী ধরনের প্রকল্প চালু করা যায়, সেই ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement