RG Kar Medical College and Hospital Incident

সব হাসপাতালে সিসি ক্যাম বসানোর কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট, চাইল কাজের হিসাব

রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ কত দূর এগোল, তা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী প্রথমে জানান, ১০ অক্টোবরের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ কত দূর এগোল? সোমবার আরজি কর-কাণ্ডের শুনানির সময় রাজ্যের কাছে এই প্রশ্নই করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এ নিয়ে রাজ্যের জবাব পাওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো-সহ সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে।

Advertisement

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ কত দূর এগোল, শুনানিতে তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ ত্রিবেদী জানান, আর কিছু সময় লাগবে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। রাজ্যে বন্যার জন্য এই কাজ কিছুটা থমকে গিয়েছে বলেও জানায় রাজ্য। তার পরেই রাজ্যের তরফে আবার জানানো হয়, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ, শৌচাগার নির্মাণের কাজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতি জানান, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাতে কাজ সম্পূর্ণ হয় রাজ্যকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও কাজ থমকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলে সেই কাজ শুরু করা যাবে। প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার রুম থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পর পরই সংলগ্ন ঘরটি সংস্কারের জন্য ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ উঠেছিল, আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে সেই ঘর ভাঙা হয়েছিল। তবে জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপে ঘর ভাঙার কাজ থমকে যায়। এ বার সেই ঘর সংস্কারের প্রসঙ্গ উঠল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘ঘটনার পরে পাঁচ দিন ঘর সংস্কারের কাজ হয়েছে। এখন আর আমাদের আপত্তি থাকবে কেন?’’

Advertisement

গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। ওই দিন থেকে প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারেরা। নির্যাতনের বিচারের পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নেরও দাবি তোলেন তাঁরা। সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি মহিলাদের জন্য আলাদা বিশ্রাম ঘর, শৌচালয়ের দাবি ছিল অন্যতম। গত ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বলেছিল, পরের দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসক, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সিনিয়র বা জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালে বিশ্রামাগার, শৌচাগার এবং সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সোমবারের শুনানিতে সেই বিষয়টিই উঠে এল। কাজ কত দূর এগোল, রাজ্যকে প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। জবাব শুনে কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement