সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার।
রাজ্যে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে বলে কলকাতার প্রাক্তন সিপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর্জি ছিল, গ্রেফতারির রক্ষাকবচ তুলে নিলেও শীর্ষ আদালত তাঁকে আগাম জামিনের আবেদন করার জন্য সাত দিন সময় দিয়েছে। সেই ধর্মঘট উঠে যাওয়ার পরে যেন তাঁকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু রাজীবের বিষয়ে রায় দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। তাই সেই রায়ে সংশোধন করতে হলে তিন বিচারপতির বেঞ্চই গঠন করতে হবে। সে জন্য সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিতে আবেদন জানান রাজীব কুমার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি রাজীবের জন্য তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠনের আবেদন খারিজ করেছেন। এর পরে রাজীব কুমারের সামনে কলকাতা হাইকোর্টে ব্যক্তিগত ভাবে হাজির হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় খোলা থাকছে না বলেই আইনজীবীদের মত।
রাজ্যে আইনজীবীদের ধর্মঘট এখনও মেটেনি। আপাতত ২৪ মে পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজীবের রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সে দিনই। তার মধ্যে আগাম জামিন না পেলে, ২৪ মে-র পরে সিবিআইয়ের সামনে রাজীবকে গ্রেফতার বা যে কোনও আইনি পদক্ষেপের রাস্তা খোলা রয়েছে।
রাজীবের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। আইনজীবীরা ধর্মঘটে থাকায় তাঁকে নিজেকেই নিজের হয়ে সওয়াল করতে হবে। রাজীবকে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছিল। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে কাজে যোগ দেওয়ার পরে ছুটি নিয়ে তিনি কলকাতায় যান। সোমবার নবান্নেও গিয়েছিলেন। মামলার প্রয়োজনে ফের কলকাতায় থাকলে হলে রাজীবকে ফের নির্বাচন কমিশনের কাছে ছুটি নিতে হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজীবের বিরুদ্ধে প্রথমে সারদা-তদন্তের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। তার পর ধাপে ধাপে প্রভাবশালীদের আড়াল করার অভিযোগও তোলে তারা। রাজ্য সরকারের একটি সূত্রের বক্তব্য, আইনজীবীদের ধর্মঘটের জন্য চলতি মাসেই বেশ কিছু মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তদের ধর্মঘট মেটার পরে জামিনের আবেদনের সুযোগ দিয়েছে। রাজীবকে সেই সুযোগ না দেওয়ায় অবিচার করা হল।