কোর্টে বিজেপির আপত্তি খারিজ, খুশি হৃদয়-কেষ্ট

কেষ্টদা খুশি। তাই তিনিও খুশি। বাবার খুনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার পর নিজেই তা প্রত্যাহারের আর্জি জানান পাড়ুইয়ের হৃদয় ঘোষ। আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই অনুমতি দেওয়ায় খুশিই দেখা যায় হৃদয়বাবুর মুখে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:২৫
Share:

কেষ্টদা খুশি। তাই তিনিও খুশি। বাবার খুনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার পর নিজেই তা প্রত্যাহারের আর্জি জানান পাড়ুইয়ের হৃদয় ঘোষ। আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই অনুমতি দেওয়ায় খুশিই দেখা যায় হৃদয়বাবুর মুখে। ফোনে খবর পেয়ে খুশি তাঁর ‘কেষ্টদা’, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির পরেই তাই দিল্লি ও বীরভূমে প্রায় উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

কিন্তু হতাশ বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, মামলা চালাতে চেয়ে তাঁদের আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁরা মামলা চালাতে চেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছে বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি অভয়মোহন সাপ্রের বেঞ্চ।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বাবা সাগর ঘোষের হত্যার পরে হৃদয়বাবু ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরই হাত দেখেছিলেন। অনুব্রত ওরফে কেষ্টর উস্কানিমূলক মন্তব্যেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানো সাগরবাবুকে খুন হতে হয় বলে তাঁর অভিযোগ ছিল। এক সময়ে বিজেপিতে যোগও দিলেও পরে সেই অনুব্রতরই আশীর্বােদ তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রত্যাহারের আর্জিও জানান।

Advertisement

তবে হৃদয়বাবু পিছু হটলেও ওই মামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তারা দাবি করে, শাসক দলের

নেতাদের চাপেই হৃদয়বাবু পিছিয়ে যাচ্ছেন। হৃদয়বাবুকে আজ মামলা তুলে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপিকে ভৎর্সনা করে বলে, ‘‘এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জায়গা নয়।”

এ দিন হৃদয়বাবু বলেন, ‘‘আমার উপরে কারও চাপ নেই। আমি নিম্ন আদালতের বিচারের উপর আস্থা রাখছি। আইন আইনের পথেই চলবে। বাবাকে যারা খুন করেছে তারা সাজা পাবেই।” তাঁর আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খরচ চালাতে পারছেন না বলেই উনি মামলা প্রত্যাহার করছেন।’’ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোনও প্রলোভনে কোনও ছেলে বাবার হত্যাকারীর সঙ্গে হাত মেলাল, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সে জন্যই আমরা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মামলা চালাতে চেষ্টা করেছিলাম। কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ আমাদের ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত যা বলেছে, তা তো মানতেই হবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement