Supreme Court

ডিএ মামলার শুনানি এগিয়ে আনার আর্জি! আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু শুক্রবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৮
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি এগিয়ে আনার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল। এই বিষয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার সকালে সেই আর্জি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।

Advertisement

গত ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে দশম বারের জন্য পিছিয়ে যায় ডিএ মামলার শুনানি। এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট মামলাকারী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় সরকার। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় ২৮ নভেম্বর। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। সেই দিনেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় পরবর্তী শুনানি ৫ ডিসেম্বরেই মামলা শেষ হবে। পরে রাজ্য আইনজীবী বদল করে অভিষেক মনু সিঙঘভিকে দায়িত্ব দেয়। এর পর থেকে একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও নানা কারণে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। গত ১৪ জুলাইয়ে নবম বার পিছিয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয় ৩ নভেম্বর।

২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি ছিল, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না-দেওয়ার জন্য নবান্নের বিরুদ্ধে একটি আদালত অবমাননার মামলাও হয়। তবে সেটির শুনানি আপাতত হাই কোর্টে স্থগিত রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে।

Advertisement

সম্প্রতি আরও চার শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অক্টোবরে ঘোষণা হলেও নতুন হারে ডিএ কার্যকর হবে জুলাই মাস থেকেই। এর আগে ২৪ মার্চের ঘোষণায় ১ জানুয়ারি থেকে মিলেছিল বর্ধিত ডিএ। তাতে ডিএ বেড়ে হয়েছিল ৪২ শতাংশ। এখন তা চার শতাংশ বেড়ে হল ৪৬ শতাংশ। আর তাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ফারাক বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশ।

বাংলায় ২০২০ সালে রাজ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হওয়ার পরে ৩ শতাংশ ডিএ বেড়েছিল। এর পরে চলতি বছর বাজেটের সময়ে আরও ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সময়ের মধ্যে দফায় দফায় ডিএ বাড়িয়েছে কেন্দ্রও। সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। ওটা ঐচ্ছিক বিষয়। সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের বেতন এক নয়।’’ এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রের থেকে বেশি ছুটি পায় বলেও জানান মমতা।

কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু সরকারি কর্মচারী সংগঠন। এই দাবিতে ১০ এবং ১১ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। কর্মবিরতি শেষে সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ দাবি করেন, তাঁদের কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হয়েছে। পুজোর আগে যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন, তা সফল হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন দাবি করে যে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতি ব্যর্থ করে সরকারি কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement