আদালত চত্বরে হৃদয়। ফাইল চিত্র।
সাগর ঘোষ হত্যা মামলা প্রত্যাহার নিয়ে হৃদয় ঘোষের আবেদনই মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলা প্রত্যাহার নিয়ে দলের আপত্তি খারিজ করে বিজেপিকে ভর্ত্সনা করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছ, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জায়গা নয়।
রাজনীতিতে ভোলবদল করে গত মাসেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন হৃদয় ঘোষ। শাসক দলে যোগ দিয়েই জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডে হাত রয়েছে সিপিএমের। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলাও যে তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন, জানিয়েছিলেন তা-ও। মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আপিল করেন হৃদয় ঘোষ। কিন্তু তাঁর পুরনো দল বিজেপির আপত্তির জেরে এত দিন ঝুলে ছিল সেই আবেদন। বৃহস্পতিবার তাঁর সেই আবেদন মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে পাড়ুইয়ে খুন হন হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ। খুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত থাকার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন হৃদয়। আদালতের নির্দেশে তৈরি হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু সন্তুষ্ট হয়নি হৃদয়। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এ বার শাসক দলে যোগ দিয়ে সেই মামলাই প্রত্যাহারের আবেদন করলেন হৃদয়। কিন্তু বাদ সাধল বিজেপি।
বিজেপির তরফে আদালতে মামলাটি প্রত্যাহার না করার আর্জি জানানো হয়। বিজেপির আইনজীবী ইন্দু মলহোত্র সে দিন দাবি করেছিলেন, মামলা প্রত্যাহারে হৃদয়ের আর্জির পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ। এ দিনও সেই একই দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বলা হয়, যেহেতু তিনি শাসক দলে যোগ দিয়েছেন, তাই মামলা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত। এ দিন সেই আবেদন সরাসরি খারিজ করে বিচারপতি জে চেলামেশ্বর এবং বিচারপতি অভয়মনোহর সাপ্রের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, “এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জায়গা নয়।”
আদালতের রায়ে খুশি হৃদয় ঘোষ বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। বাবাকে যারা খুন করেছে তারা সাজা পাবেই।” পাশাপাশি এ-ও দাবি করেন, সাগর দত্ত খুনের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও সম্পর্কই নেই।