Supreme Court of India

রাজ্যের জবাব চাইল কোর্ট, পুরভোট নিয়ে সময় ১০ দিন

রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও করোনা সংক্রমণের কারণে সেখানে ভোট হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৮
Share:

ফাইল চিত্র।

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় কবে ভোট করা সম্ভব, তা ১০ দিনের মধ্যে জানাতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোভিড পরিস্থিতির কারণে তাড়াতাড়ি ভোট করা সম্ভব না-হলে পুরসভার মাথায় স্বাধীন প্রশাসক বসাতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও করোনা সংক্রমণের কারণে সেখানে ভোট হয়নি। সাধারণ ভাবে বিগত বোর্ডে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁদেরই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করে পুরসভার দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে। যেমন কলকাতার ক্ষেত্রে ‘বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান করা হয়েছে বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন বিদায়ী ‘মেয়র-ইন-কাউন্সিল’-এর সদস্যরা।

এই ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, এই ভাবে আসলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এড়িয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখছে শাসক দল। সরকারের অবশ্য দাবি, পুর আইন মেনেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে এবং আদালতে তা মান্যতাও পেয়েছে। কারণ, কলকাতার বাসিন্দা শরদকুমার সিংহ প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অগস্টে হাইকোর্ট তাঁর মামলা খারিজ করে দেয়। তবে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই যত দ্রুত সম্ভব পুরভোট করাতে হবে বলে হাইকোর্ট জানিয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: সব স্বাভাবিক হলেও বিমানে নিষেধাজ্ঞা কেন, বাড়ছে ক্ষোভ

পুরসভাগুলিতে রাজনীতিকদের বদলে কেন নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করা হল না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। পাশাপাশি, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান শরদকুমার। তাঁর দাবি ছিল, পুর আইন কাজে লাগিয়ে, পুরসভার মেয়াদ শেষে নির্বাচন করানোর সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা খারিজ করে দেওয়া যায় না। প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে প্রশাসকও নিয়োগ করা যায় না। তা বিধানসভায় পাশ করিয়ে বা আদালতের মাধ্যমে করতে হবে।

আরও পড়ুন: আরও ধাক্কা দিক এই ধর্মঘট, আহ্বান কৃষকদের

পুরভোট করানোর দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পুরভোট কবে করানো হবে সে ব্যাপারে দীপাবলির পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জানুয়ারির মাসের মধ্যেই রাজ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ভোট কবে করানো সম্ভব হবে, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চায় বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউলের বেঞ্চ। ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই হিসেবে রাজ্যের হাতে মাত্র ১০ দিন সময় রয়েছে। কলকাতা পুরসভার আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিচারপতিরা মন্তব্য করেছেন যে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য ভোট করানো সম্ভব না হলে স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশ সিংহ বলেন, দশ দিনের মধ্যে পুরভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে স্বাধীন প্রশাসক নিয়োগ বসাতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে। অন্য দিকে, আদালতের কাগজপত্র না-দেখে মন্তব্য করতে রাজি হননি ফিরহাদ হাকিম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement