Supreme Court

আরজি কর মামলা শুনতে দেরি, দুপুর ২টো থেকে কী কী মামলার শুনানি হল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ বসার পর অন্য কিছু মামলার শুনানি শুরু হয়। তালিকায় ছিল পটনা হাই কোর্টের এক বিচারপতির বেতন সংক্রান্ত মামলা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০৫
Share:

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।

সোমবার দুপুর ২টোর সময় বসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। আদালত সূত্রে প্রথমে জানা গিয়েছিল, দুপুর ২টোর সময়েই মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে। তবে অন্য বেশ কয়েকটি মামলার জন্য সোমবার পিছিয়ে যায় আরজি কর মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ বসার পর অন্য কিছু মামলার শুনানি শুরু হয়। তালিকায় ছিল পটনা হাই কোর্টের এক বিচারপতির বেতন সংক্রান্ত মামলা। তেলঙ্গানায় মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সেই রাজ্যের পড়ুয়াদের কোটা বিষয়ক মামলাও শোনা হয় আরজি কর মামলার আগে।

Advertisement

পটনা হাই কোর্টের ওই বিচারপতি গত ১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিচারপতির আইনজীবী জানান, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তিনি পটনা হাই কোর্টে বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। কিম্তু তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও বেতন পাননি। কারণ, তাঁর জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) অ্যাকাউন্ট নেই। ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবক্ষণ, কোনও বিচারকের থেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজের আশা করা যায় না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তখন সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এবং সমস্যার সমাধান করা হবে।

তবে এক জন বিচারপতির বেতন কী ভাবে আটকে থাকতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী শুক্রবার মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য অনুরোধ করেন সলিসিটর জেনারেল। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে পটনা হাই কোর্টের ওই বিচারপতির বেতনের ব্যবস্থা করা হয়। বকেয়া টাকা-সহ গোটা বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি একটি একটি টেম্পোরারি (অস্থায়ী) জিপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু করারও জন্যও বলেছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

এর পরে তেলঙ্গানায় মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সেই রাজ্যের পড়ুয়াদের কোটা বিষয়ক একটি মামলা শোনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কোর্সে তেলঙ্গানার স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য ৮৫ শতাংশ কোটার নির্দেশ দিয়েছিল তেলঙ্গানা হাই কোর্ট। যাঁরা তেলঙ্গানার স্থায়ী বাসিন্দা কিন্তু পড়াশোনা ভিন রাজ্যে, তাঁদেরও এই তালিকায় রেখেছিল হাই কোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। আরজি কর মামলার আগে ওই মামলাটিও শোনে সুপ্রিম কোর্ট।

এ ছাড়া আইআইটি ধানবাদে সুযোগ পাওয়া এক পড়ুয়ার ভর্তির ফি দিতে দেরি হওয়া সংক্রান্ত মামলাও শোনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দলিত পরিবারের ওই পড়ুয়ার পিতা পেশায় দিনমজুর। ভর্তির ফি দেওয়ার সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হতে পারছিলেন না। সেই মামলাটির শুনানি হয় সোমবার বিকালে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement