সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কলকাতা পুলিশের কোনও অফিসারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে, তা করতে হবে কলকাতাতেই।
গত জুলাই মাসে ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী রাজীব কুমার ৫০ লক্ষ টাকা-সহ কলকাতায় ধরা পড়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী অমিত কুমার আগরওয়াল কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করে বলেছিলেন, রাজীব কুমার ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁর থেকে ১০ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন। এই রাজীব কুমার আবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলারও আইনজীবী। আবার হেমন্ত সরেনের কালো টাকা বেআইনি ভাবে নানা সংস্থায় খাটান বলে অমিতের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ ওঠে। ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে অমিত ও কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। তার বিরুদ্ধেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।
শুক্রবার পুলিশ কমিশনারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন, কী ভাবে সিবিআই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে! সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ গোটা বিষয়টাই রহস্যজনক বলে মন্তব্য করে এর গভীরে যাওয়া দরকার বলে জানান। মনু সিঙ্ঘভি বলেন, প্রয়োজনে সিবিআই যেন কলকাতা পুলিশের অফিসারদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে জিজ্ঞাসাবাদ করে। না হলে অর্ধেক অফিসারকে দিল্লিতে এসে বসে থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সিবিআই কলকাতা পুলিশের অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন মনে করলে কলকাতাতেই তা করবে।