—প্রতীকী ছবি।
অতিমারির মধ্যে অক্সিজেনের কালোবাজারির অভিযোগ উঠছিল এখানে-ওখানে। এ বার সরকারি কোভিড হাসপাতাল থেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল! দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং কোভিড হাসপাতালে এটা ঘটছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন সেখানকার সুপার।
ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সে-দিন সন্ধ্যায় রোগীদের ব্যবহারের জন্য ছ’টি অক্সিজেন সিলিন্ডার খোলা হয়। অভিযোগ, হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মী (কর্মবন্ধু) সেই সময় কর্তব্যরত নার্সকে ছ’টির বদলে আটটি সিলিন্ডার লেখার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। কর্তব্যরত নার্স আটটি সিলিন্ডার লিখতে রাজি না-হওয়ায় তাঁকে শাসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই নার্স শুক্রবার সুপার অপূর্বলাল সরকারকে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান। সুপার জানান পুলিশকে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সন্দেহ করা হচ্ছে, এর আগেও এই পদ্ধতিতে হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার অন্যত্র পাচার হয়ে থাকতে পারে। কারণ, রোগীদের জন্য যেখানে ছ'টি সিলিন্ডার বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেখানে তালিকায় আটটি সিলিন্ডার লেখানোর চেষ্টার অর্থ, বাকি দু’টি সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলা। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের অনুমান, ওই ব্যক্তি আগে এ ভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অন্যত্র পাচার করে থাকতে পারেন। অভিযুক্ত কর্মীর সঙ্গে হাসপাতালের আরও কেউ জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ।
এমনিতেই হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আশঙ্কা, ওই নার্স রুখে না-দাঁড়ালে হয়তো এ ভাবেই মরণাপন্ন করোনা রোগীদের প্রাপ্য অক্সিজেন অন্যত্র পাচার হয়ে যেত।
পুলিশি সূত্রের খবর, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় সামাল দেওয়ার প্রস্তুতিতে সব অফিসার এখন ব্যস্ত। তারই মধ্যে অভিযুক্ত কর্মীকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের সুপার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তথ্যসূত্র: শামসুল হুদা