Sukanta Majumdar

অনুব্রতকে সামনে রেখে তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ সুকান্ত-শুভেন্দুর, শাসকদল বলল, বিজেপি দেশের কলঙ্ক

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার রায়গঞ্জে ছিলেন। জলপাইগুড়িতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই বিজেপি নেতাই এক সুরে উত্তরবঙ্গ থেকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:২৪
Share:

অনুব্রতকে সামনে রেখে দু’জনেই কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শাসকদলকে। ফাইল চিত্র।

জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে একই সুরে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা। দু’জনেই অনুব্রতকে সামনে রেখে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের শাসকদলকে।

Advertisement

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার রায়গঞ্জে ছিলেন। অন্য দিকে, জলপাইগুড়িতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার দুই বিজেপি নেতাই এক সুরে উত্তরবঙ্গ থেকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে।

রায়গঞ্জের জনসভা শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল যদি মুখ খোলেন, তা হলে তৃণমূলের অনেক বড় বড় দু’জন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাবেন। সেই ভয়ে অনুব্রতের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দল। আবার দিদিমণিই অনুব্রতকে বেশি দিন জেলের ভেতরে থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।’’ শুক্রবারই মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রতকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট আদালত। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘সবে শুরু এখনই অত লাফানোর দরকার নেই।’’ সুকান্ত এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গও তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রতের প্রভাব পড়বে না। তাঁরা নিজেরাই তৈরি হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সব জায়গাতেই বিজেপি তৈরি হচ্ছে। পুলিশের ভরসায় আমরা ছিলাম, কিন্তু এই প্রশাসনকে আর ভরসা করতে পারছি না। প্রশাসন যদি এঁদের ঠিক করতে না পারে, আমরা জানি কী ভাবে এদের ঠিক করতে হয়।’’

Advertisement

বাগুইআটির দুই পড়ুয়ার খুন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দুটো প্রাণ গেল, তার দায় কি মুখ্যমন্ত্রী নেবেন? তাঁর ভাইপো যদি খুন হন, আর অপরাধী যদি ধরা না পড়ে তা হলে মুখ্যমন্ত্রী শান্ত থাকবেন তো?’’

সুকান্তকে যদিও পাল্টা আক্রমণ করে রায়গঞ্জের ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার বলেন, ‘‘বাংলার কলঙ্ক, বিজেপির যে দু’-এক জন বেচে যাওয়া নেতা কর্মী রয়েছেন, তাঁরা বাংলার গর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম করছেন। তাঁর নামে কুৎসা করছেন। আমরা ওই বিজেপি নেতাদের বলব, আপনারা ভারতবর্ষের নামে কলঙ্ক। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে দেশের সর্বনাশ করছে, তাতে সাধারণ মানুষ বিজেপি সরকারকে খুব তাড়াতাড়ি বিদায় করবে এ বিষয়ে কোনও ভুল নেই।’’

অন্য দিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযান সফল করতে জেলায় জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি দুই জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল তাঁর। শুক্রবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারেক বিএম ক্লাব ময়দান থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। মিছিল জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে আসতে মিছিলকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। পরে জলপাইগুড়িতে শুভেন্দু বলেন, “চোরেদের বীর সম্মান দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতাজিকে বীর বলে সম্মান দিচ্ছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বীর বলে স্বীকৃতি দিচ্ছেন কেষ্টকে। এই বীরের সঙ্গে দেখা করতে এর পর তিহাড় জেলে যেতে হবে।”

তৃণমূলনেত্রীর নাম না নিয়েও তাঁকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “সব চোরেদের গুরুমা তিনি। নবান্ন অভিযানের দিন তিনি নবান্ন ছেড়ে মেদিনীপুরে পালিয়ে যাচ্ছেন।”

তৃণমূল যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “শুভেন্দুর কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না আমরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement