Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar: পিসি-ভাইপোর লড়াই সময়ের অপেক্ষা: সুকান্ত

বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা যা বলি, তা রাজ্য ও দেশের স্বার্থে বলি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোসাবা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৪৬
Share:

সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়মিতই আক্রমণ করে থাকেন তাঁরা। এ বার শাসক দলের শীর্ষ স্তরে ‘ক্ষমতার লড়াই’ শুরু হতে চলেছে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির মসনদে পাঠানো নিয়ে হইচইয়ের নেপথ্যে আসলে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের গদিতে বসার স্বপ্ন! তৃণমূল অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ করেছে, বিজেপি আগে নিজেদের দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে তার পরে ‘বড় বড় কথা’ বলুক!

Advertisement

গোসাবার বেলতলিতে রবিবার উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের প্রতি ইঙ্গিত করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের কটাক্ষ, ‘‘যতটা না পিসিকে দিল্লি পাঠানোর ইচ্ছে, তার থেকে বেশি নিজের এই রাজ্যের ক্ষমতায় বসার ইচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে পিসি-ভাইপোর মধ্যে লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা!” মুখ্যমন্ত্রী মমতার নেতৃত্বেই দেশ থেকে বিজেপি সরকার উৎখাত হবে বলে বার বার দাবি করছেন অভিষেক। তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে শনিবার গোসাবায় প্রচার-সভা থেকেও অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আওয়াজ উঠেছে, দেশ কা নেত্রী ক্যায়সি হো, মমতাদিদি য্যায়সি হো।’’ অভিষেকের আরও দাবি, মমতার নেতৃত্বে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতেও তাদের হারিয়ে সরকার গড়বে তৃণমূল। অভিষেকের ওই মন্তব্যের জবাবেই এ দিন ‘ক্ষমতার লড়াইয়ের’ প্রসঙ্গ এনেছেন সুকান্ত।

বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা যা বলি, তা রাজ্য ও দেশের স্বার্থে বলি। ওঁদের মতো ব্যক্তিস্বার্থ, চেয়ারের স্বার্থে বলি না। আগে ওঁরা নিজেদের লড়াই মেটান! শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের লড়াই, আদি বিজেপির সঙ্গে তৎকাল বিজেপির লড়াই মেটান। তার পরে বড় বড় কথা বলবেন।’’ কুণালের আরও সংযোজন, ‘‘উনি আর দিলীপ ঘোষ যাওয়ার আগে দাঁইহাটে বিজেপি কর্মীরা যে মারামারি করলেন, তা তো সকলেই দেখেছেন। রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিতে সুকান্ত যে দিলীপ ঘোষেরই যথাযোগ্য উত্তরসূরি, তা ওঁর কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।”

Advertisement

গোসাবায় এ দিন বিজেপির ওই সভাতেই দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং অধুনা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপবাবু তাঁদের দল ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যাওয়াদের কটাক্ষ করে ফের বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে অনেক বদ লোক ঢুকেছিল। ক্ষমতার লোভে এসেছিল। বিজেপি ক্ষমতা পায়নি বলে আবার পালিয়ে গেছে। ভাল হয়েছে, বিদায় হয়েছে। বিজেপি দূষণমুক্ত হয়েছে।” বেলতলি থেকে ফেরার পথে দলীয় কর্মী দেবু হালদারের কাঠ চেরাই মিলে যান বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপি যুব মোর্চার এই নেতার কাঠ চেরাই মিলে তৃণমূল হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement