Sukanta Majumdar

অস্ত্র রাখার নিদান সুকান্তের, পাল্টা তৃণমূল-সিপিএমের

ধর্ম-রক্ষায় বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর এই মন্তব্যকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের ভাষা’ বলে আক্রমণ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএমও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩৪
Share:

সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে অশান্তির আবহে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সব হিন্দুকে এক জোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। এ বার আরও এগিয়ে ধর্ম-রক্ষায় বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর এই মন্তব্যকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের ভাষা’ বলে আক্রমণ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএমও।

Advertisement

হুগলির কুন্তীঘাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি রাম-মন্দিরের উদ্বোধনে রবিবার গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেছেন, “নিজের ধর্ম-সংস্কৃতি, আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে চান? ছেলেকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, যা বানানোর বানান। তার সঙ্গে ভাল হিন্দুও বানান, যে নিজের ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, “বাড়িতে একটি করে ধারালো অস্ত্রও রাখুন। আপনার ছেলে যদি ধর্ম-সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারেন, তিনি ডাক্তার-অফিসার যা-ই হোন না কেন, দু’পয়সা দাম থাকবে না! উদ্বাস্তু হয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে।” সুকান্তের ব্যাখ্যা, আত্মরক্ষার অধিকারের প্রশ্নেই এই নিদান। এই সূত্রে ‘দিদির পুলিশ’ বাঁচাবে না বলে রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছেন সুকান্ত।

বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদীরা যে ভাষায় কথা বলেন, কেন্দ্রের এক জন মন্ত্রী সেই ভাষায় কথা বলছেন! হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নয়। এক জনকে আগে ভারতীয়, মানুষ বানান, যাতে তিনি দেশকে নিয়ে গর্ব করেন।” প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে সংখ্যালঘু সংক্রান্ত একটি মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ফিরহাদও। সুকান্তের এই বক্তব্যের সূত্রেই ‘ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি’র ফের বিরোধিতা করে সরব হয়েছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “বাংলাদেশে সংখ্যাধিক্যবাদীরা এই ভাবেই উস্কানি দিচ্ছেন। ধর্মকে আশ্রয় করে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা এই ভাবেই উস্কানি দেন। এর ফলে সংখ্যালঘুর উপরে আক্রমণ বাড়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপরে তাঁর (সুকান্তের) কোনও ভরসা নেই। এটাই বিপদের কথা।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement