‘ফায়ার অডিটে অজস্র ভুল’, নাম না করে শোভন জমানাকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন সুজিত

এ দিন বিধানসভায় নিজের ঘরে সুজিত বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, রাজ্যের প্রায় ১ হাজার ৪০০টি জায়গায় ফায়ার অডিট হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল অনেকাংশেই নেই বলে সুজিতের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪৪
Share:

ফায়ার অডিট নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নাম না করে আঙুল তুললেন সুজিত বসু।

এক দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কমে আসার ইঙ্গিত। অন্য দিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভারই একটি অংশের তরফ থেকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া তাঁর মন্ত্রিত্বকালকে। ফায়ার অডিটে অসঙ্গতি সংক্রান্ত কিছু ‘তথ্য’ সোমবার আচমকা সামনে এনেছেন রাজ্যের বর্তমান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। প্রাক্তন দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম তিনি করেননি। কিন্তু আসলে যে শোভনের আমলকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন সুজিত, তা নিয়ে সংশয়ের অSবকাশ নেই।

Advertisement

এ দিন বিধানসভায় নিজের ঘরে সুজিত বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, রাজ্যের প্রায় ১ হাজার ৪০০টি জায়গায় ফায়ার অডিট হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল অনেকাংশেই নেই বলে সুজিতের দাবি।

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই ফায়ার অডিট করা হয়। দমকল দফতর তাঁর হাতে আসার আগে যে সব ফায়ার অডিট হয়েছে, তার প্রায় অর্ধেকেই ভুল তথ্য রয়েছে বলে সুজিত বসু এ দিন জানিয়েছেন। কোথাও দেখা গিয়েছে জলাধার রয়েছে, কিন্তু তাতে জল নেই। কোথাও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা নেই, রয়েছে ম্যানুয়াল। জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী। প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝে নিতে নতুন করে ফায়াড অডিট করানো হবে বলে সুজিত বসু এ দিন জানিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন:ডেউচা-পাঁচামিতে হস্তক্ষেপে প্রস্তুত, বার্তা রাজ্যপালের, আরও বাড়তে পারে সংঘাত
আরও পড়ুন:বাংলা পক্ষে ভাঙন, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অভিযোগ এনে তৈরি হল পৃথক সংগঠন

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। কিন্তু তৃণমূলে সুজিত যাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, সেই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ঠিক কেমন, তা রাজনৈতিক শিবিরে কারও অজানা নয়। বিজেপিতে চলে যাওয়া শোভনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব ফের কমে আসতে শুরু করেছে যখন থেকে, তখন থেকেই শোভনের ‘ঘর ওয়াপসি’ এবং মেয়র পদে ফেরা নিয়েও জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব বা শোভন নিজে কখনওই এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ঠিকই। কিন্তু শোভন তৃণমূলে ফিরলে কলকাতায় যে অন্য অনেকের কর্তৃত্ব কমে যেতে পারে, রাজনৈতিক শিবিরে সে কথা কারও অজানা নয়। ফায়ার অডিটের ভুল-ভ্রান্তি খুঁজে বার করার সঙ্গে রাজনীতির সেই জটিল অঙ্কের কোনও যোগ রয়েছে কি? শোভন চট্টোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement