ফাইল চিত্র।
পয়লা ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলার নানা দিকের রিপোর্ট জমা পড়তে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কোন থানার কেমন পারফরম্যান্স তার খতিয়ান রাখতে পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের পরামর্শ দিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তেমনই খবর সূত্রের।
রাজ্য সফরের দ্বিতীয়দিনে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি, বর্ধমান ও মেদিনীপুর ডিভিশনের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জৈন। থানাগুলির রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনাররা কী ভূমিকা নেবেন, তার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পয়লা ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলার নানা দিকের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে রিপোর্ট কমিশনকে দিচ্ছেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনাররা। কোন এলাকায় কত জন জামিনঅযোগ্য মামলা থাকা ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন, কী তাঁদের অবস্থান, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, গোলমেলে লোকেদের অবস্থান কী—সব মিলিয়ে রিপোর্ট দিচ্ছেন বিভিন্ন থানার দায়িত্বপ্রাপ্তেরা। সেই রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সব থানার সমান ‘সক্রিয়তা’র অভাব রয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। সেই ‘অভাবে’ কার কতটা ভূমিকা, কার পারফরম্যান্স কত ভাল বা কার খারাপ, তার খতিয়ান রেখে দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন কর্তা। তাঁর মতে, এখন থেকে এই বিষয়গুলি নজরে রাখা হলে নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কমিশনের অনেকাংশে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়াশা বিভ্রাট কাটিয়ে শহরে অমিত শাহ, মধ্যরাতেও বিমানবন্দরে সমর্থকদের ঢল
সূত্রের দাবি, নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে এক পুলিশ সুপার অতীত আর বর্তমানের রিপোর্টের তুলনা করে পরিস্থিতি ‘ভাল’ বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাতে সরাসরি কোনও মত দেননি উপ নির্বাচন কমিশনার। শুধুমাত্র বলেছেন, ‘‘আগেরটা ভাল এখনকার পরিস্থিতি খারাপ নাকি এখনকার পরিস্থিতি ভাল আগেরটা খারাপ।’’
আরও পড়ুন: দল ছাড়ার কথা বলে ভুল করেছি, দিদির কাছে ক্ষমা চাইব: জিতেন্দ্র
বিভিন্ন থানার পারফরম্যান্সের হিসেব এখন থেকে রাখলে ভোট পর্বে সেই অনুসারে বিভিন্ন থানার মূল্যায়ন করতে কমিশনকে সুবিধা দেবে। সে কারণে এ ভাবে পারফরম্যান্সের এখন থেকে খতিয়ান করে রাখার পরামর্শ জৈনের বলে মত ভোট পর্যবেক্ষকদের। তাতে পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও পরবর্তী পদক্ষেপ করতে কমিশনের সুবিধা হবে বলে দাবি তাঁদের।