উত্তর কলকাতা আইএনটিটিইউসি-র অফিসের উদ্বোধনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর উদ্বোধনে এসে কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ধর্মতলায় উত্তর কলকাতা জেলা আইএনটিটিইউসি-র নবরূপে সজ্জিত দফতরের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের পর শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে সুদীপ বলেন, ‘‘তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের তরফে দোলা সেন আমাকে কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতেন। আমন্ত্রণ পেলেই যেতাম। কিন্তু একটি জায়গায় একাধিক ইউনিয়ন ছিল। এটা ঠিক নয়, মানাও সম্ভব নয়। তাই সবার আগে একটি সংস্থায় একটি ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। এটাই দলের নির্দেশ। যাঁরা দলের সৈনিক, তাঁদের দলকে মেনে চলতেই হবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে এসে অনেক কিছু জানলাম শ্রমিক সংগঠন প্রসঙ্গে। প্রতিদিন নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়। আপনাদের এই উদ্যোগ তাঁকে জানাব।’’ সুদীপ বর্তমানে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতিও বটে। তাই তাঁর নজর যে উত্তর কলকাতার শ্রমিক সংগঠনের উপর থাকবে, তা বুঝিয়ে দেন তিনি। উত্তর কলকাতা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি স্বপন সমাদ্দারকেও বেশ কিছু পরামর্শও দেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা।
অনুষ্ঠানে হাজির শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সুদীপের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘কোনও ক্ষেত্রে একাধিক ইউনিয়ন মান্যতা পাবে না। রাজ্য ট্রেড ইউনিয়নকে আমি একটা ইউনিয়ন করতে চাই। চা বাগানে ছয়টি ইউনিয়ন ছিল। সেখানে একটা ইউনিয়ন করেছি। জুট-সহ কয়েকটি জায়গায় একাধিক ইউনিয়ন আছে। সেখানেও একটি ইউনিয়ন করব।’’ শ্রমিক সংগঠনের প্রবীণ নেতা তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘কোনও লোক ছিল না। তখন এই ট্রেড ইউনিয়ন শুরু করেছিলাম। আজ দল ক্ষমতায় এসেছে, সংগঠন বড় হয়েছে। তাই আমাদের দায়িত্বও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই যাঁরা শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের দলের নির্দেশ মাথায় রেখে একটি ইউনিয়ন করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হবে।’’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে হাজির উত্তর কলকাতার নেতৃত্ব দেবাশিস দে ও হাওড়া জেলা জুট মিলের শ্রমিক নেতা মহেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতারা আমাদের পথচলার দিশা ঠিক করে দেন। তাই আমরাও সে ভাবেই পথ চলব। কোনও জায়গাতেই একের বেশি ইউনিয়ন আমরা মেনে নেব না।