খেলার মাঠে কিশোরের মৃত্যু  

১৯৯২ সালে কন্নুরে বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে খেলতে গিয়ে হেড করতে উঠে প্রতিপক্ষের কনুইয়ের খোঁচায় বুকে চোট পেয়ে মাঠেই মারা গিয়েছিলেন হাওড়ার সঞ্জীব দত্ত

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাহাগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

মৃত তন্ময় সাহা। —নিজস্ব চিত্র।

পাড়ার ফুটবল প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষের মারা বল বুক দিয়ে ‘রিসিভ’ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। বৃহস্পতিবার হুগলির ব্যান্ডেলের সাহাগঞ্জের ঝাঁপপুকুর এলাকায় এই ঘটনায় মৃতের নাম তন্ময় সাহা (১৬)। এর আগেও প্রায় একই রকম ভাবে খেলার মাঠে ফুটবলারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

১৯৯২ সালে কন্নুরে বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে খেলতে গিয়ে হেড করতে উঠে প্রতিপক্ষের কনুইয়ের খোঁচায় বুকে চোট পেয়ে মাঠেই মারা গিয়েছিলেন হাওড়ার সঞ্জীব দত্ত। ২০০৪ সালে বেঙ্গালুরুতে ফেডারেশন কাপে মোহনবাগানের গোলকিপার সুব্রত পালের সঙ্গে সংঘর্ষে মাঠেই মৃত্যু হয়েছিল ডেম্পোর জুনিয়রের। চলতি বছরের গোড়াতেও বিধাননগরের স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সাই) মাঠে ওড়িশার ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি-র হয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় ভুবনেশ্বরের ঋত্বিক দাসের। ঝাঁপপুকুরের তন্ময় নিয়মিত ফুটবল খেলত না। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাড়ার ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। বিকেলে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘটে বিপত্তি। তন্ময় ডিফেন্সে খেলছিল। প্রতিপক্ষের মারা বল সে বুক দিয়ে ‘রিসিভ’ করেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসায় সে কিছুটা সুস্থও হয়। তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এরপরে বুকের ব্যথা বাড়তে থাকে। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। সন্ধ্যায় তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের সুপার উজ্জ্বলেন্দুবিকাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, কিশোরের হৃদযন্ত্র দুর্বল ছিল। বলের চাপ সহ্য করতে পারেনি। তা থেকে শ্বাসকষ্ট হয়। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement