—ফাইল চিত্র।
ছোট ছোট গোল স্টিকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে ছবি। তার নীচে লেখা একটি ফোন নম্বর। গড়িয়াহাটে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সেই স্টিকার এলাকার এক বাসিন্দার মোবাইল ফোনে সেঁটে দিয়ে বললেন, ‘‘যে-কোনও দরকারে এই নম্বরে দিদিকে ফোন করবেন।’’ সুব্রতবাবু শুধু স্টিকারই সাঁটলেন না, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলোলেন ‘দিদিকে বলো’ লেখা বিস্তর কার্ডও।
বুধবার সকালে গড়িয়াহাট এলাকায় এ ভাবেই ‘‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসে বসে তিনি ‘দিদিকে বলো’ লেখা গেঞ্জি, ভিজিটিং কার্ড ও ছোট ছোট স্টিকার বিলি করলেন দলীয় কর্মীদের মধ্যে। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘আমাদের দল থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি ফোন করে সমস্যার কথা বলা যাবে। এই কর্মসূচি আমরা এ দিন শুরু করলাম। জনসংযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ খুবই অভিনব।’’ জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য দলীয় কর্মীদের বাড়িতে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের রাত কাটানোর কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘কিছু দিনের মধ্যেই আমি আমাদের কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে রাতও কাটাব। তবে সেটা কবে, এখনও ঠিক করিনি।’’
এলাকার সাধারণ মানুষের মোবাইলের পিছনে সুব্রতবাবু এ দিন যখন ‘দিদিকে বলো’ স্টিকার লাগাচ্ছিলেন, তখন অনেকে তাঁকে জানান, তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ আছে। মায়া বিশ্বাস নামে এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালে আমাদের যে-সব সুবিধা পাওয়ার কথা, সেগুলো সব ঠিকমতো পাচ্ছি না। এটা আমি ফোন করে বলতে চাই।’’ এলাকার অন্য এক বাসিন্দা রুমা নস্কর বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দিদিকে ফোন করে এই সমস্যার কথা বললে তার সমাধান হবে তো?’’