সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে সরলেও সংগঠনের অন্দরে দিলীপ ঘোষের ‘ছায়া’ কি দীর্ঘ হচ্ছে? রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর পূর্ব ক্ষেত্রের প্রচার প্রমুখ হওয়ায় এই চর্চা সামনে এল।
গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে সুব্রতকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে সরানো হয়। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পান অমিতাভ চক্রবর্তী। আরএসএস সূত্রের খবর, সঙ্ঘ তখন সুব্রতকে সীমান্ত সুরক্ষা মঞ্চের দায়িত্ব নিতে বলে। কিন্তু সুব্রত রাজি হননি। তার পর এত দিন তিনি বিজেপি এবং সঙ্ঘ— দুই ক্ষেত্রেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু শনিবার জানান, সুব্রতর নতুন দায়িত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্ঘে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম এবং আন্দামানের দায়িত্ব থাকবে তাঁর হাতে। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, সুব্রতর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপের বরাবরই ঘনিষ্ঠতা আছে। ফলে সুব্রতর নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তিতে রাজ্য বিজেপির অন্দরে ক্ষমতার সমীকরণে দিলীপের প্রভাব বাড়তে পারে। সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে এখনও রাজ্যের নতুন কমিটি হয়নি। সঙ্ঘে সুব্রতর ক্ষমতা বৃদ্ধি সেই প্রক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের অভিমত। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিজেপির বর্তমান এবং পূর্বতন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ও দিলীপ এখন একসঙ্গে জেলা সফর করছেন, রাজ্য দলে যার নজির আগে ছিল না।
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, গত বছর সুব্রতর বদলে অমিতাভ রাজ্য দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হওয়ায় দলের অন্দরে দিলীপের ক্ষমতা খর্ব হয়েছিল। কারণ অমিতাভর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ছিল। বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের পরে আরএসএসের পূর্ব ক্ষেত্রের প্রচারকের পদ থেকে প্রদীপ জোশীকে সরিয়ে সেখানে আনা হয় রমাপদ পালকে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, প্রদীপের সঙ্গে অমিতাভর ঘনিষ্ঠতা ছিল।