সুব্রত বক্সী। —ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বিরতি’ চাওয়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে বদল এল কাজকর্মে। এই পর্বে ফের সক্রিয় হলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। দলীয় সূত্রে খবর, নির্বাচনের পরে প্রথম দলীয় বৈঠকে এই সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ২১ জুলাই দলের সব থেকে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ‘শহিদ তর্পণে’র আগে এই বদল জল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে।
লোকসভা ভোটে দলের প্রায় সব কাজ পরিচালিত হয়েছিল অভিষেকের তত্ত্বাবধানে। ভোটের পরে অভিষেক ‘বিরতি’ ঘোষণা করার পরে এই ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে। ভোটের পর প্রথম সাংগঠনিক বদলের প্রক্রিয়ায় সামনে এসেছেন বক্সী। শুক্রবারই নদিয়া (দক্ষিণ) জেলা কমিটির নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করে প্রবীণ নেতা শঙ্কর সিংহের হাতে চিঠি দায়িত্ব দিয়েছেন বক্সীই। সেই সঙ্গে দলে বক্সীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত জয়প্রকাশ মজুমদার উপনির্বাচনে মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের ডেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভোটের সময়ে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যব্যাপী কোনও কাজে বক্সীকে দেখা যায়নি। শুধু মমতার নির্দেশে বাছাই করা তিন-চারটি কেন্দ্রে সংগঠনের ফাঁকফোকর মেটাতে নেমেছিলেন তিনি।
দলের একাংশ মনে করছে, এই বদলের সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়েছিল ভোটের পরে তৃণমূলের প্রথম বৈঠকে। বৈঠকে উপস্থিত এক সদ্যবিজয়ী সাংসদের কথায়, “ওই বৈঠকে মমতাদি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দল পরিচালনার বিষয়টি কোথাও কেন্দ্রীভূত থাক, তা তিনি চাইছেন না। বরং বক্তৃতা চলাকালীন বক্সীদাকে থামিয়েই তিনি বলে দেন, তৃণমূলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্ব বলতে তিনি একাধিক নেতাকেই সামনে চান।” এবং সেখানেই কোথায় কী খামতি আছে, তা দেখতে আলাদা করে রাজ্য সভাপতির নামও করেন মমতা। তার পরপরই এই সাংগঠনিক বদল এবং উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিষেকের দফতর ছাড়াই দলের একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
অভিষেকের বিরতি-পর্বে বক্সীর সক্রিয়তা নিয়ে জল্পনা চললেও প্রকাশ্যে তাকে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “আগেও এমন জল্পনা হয়েছে। মমতাদি দলের নেত্রী। অভিষেক তৃণমূলের সেনাপতি। এই দুটি তথ্য ভুলে গেলেই এ নিয়ে জল্পনা চলবে।’