(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ষষ্ঠীর সকাল থেকে তৃণমূল-বিজেপির পুজোর লড়াই দেখল নন্দীগ্রাম। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল থেকে উদ্বোধন পর্ব সেরেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিক্রমায় পাল্লা দিয়ে নন্দীগ্রামের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এই ছোটাছুটির মাঝে কোথাও দু’জনের কনভয় মুখোমুখি হল, কখনও আবার একই সময়ে একই এলাকায় পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু-কুণাল।
রেয়াপাড়ায় কয়েক ফুট দূরত্বে বিজেপি ও তৃণমূলের পার্টি অফিস রয়েছে। দুই নেতা প্রায় একই সময়ে সেই দুই পার্টি অফিসে নিজের নজের দলের কর্মীসমর্থকেদের সঙ্গে শারদ সাক্ষাৎ সারেন। আগামী কয়েক দিনও শুভেন্দু ঘুরবেন তাঁর বিধানসভা এলাকায়। তবে কুণাল জানিয়েছেন, তিনি কোনও উদ্বোধনে যাননি। কেবল গোটা ২০ পুজোয় মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করেছিলেন শুভেন্দু। যদিও সেই গণনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে তৃণমূল ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে হলদি নদীর তীরে। এই পরিক্রমায় পাল্লা দেওয়া কেন? কুণাল স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, জনসংযোগের লক্ষ্য লোকসভা। তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, ‘‘ওই ১০ হাজারকে লোকসভায় ২০ হাজার করব।’’
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু-কুণালের প্রতিযোগিতা নতুন নয়। পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও তা দেখা গিয়েছিল। চণ্ডীপুরের কাছে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল শুভেন্দু ও কুণালের কনভয়। দু’জন দু’জনকে দেখেছিলেন। কিন্তু কোনও সৌজন্য বিনিময় হয়নি। তবে দুই নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা এ গাড়ি থেকে ও গাড়ি হাত নেড়েছিলেন। এ বারও শারদ সৌজন্য বিনিময় হল না শুভেন্দু-কুণালের। নন্দীগ্রাম দেখল পুজোর প্রতিযোগিতা। আসলে রাজনীতির।