চেনাঘর: ন্যাস-মূল্যায়নের প্রস্তুতির ক্লাস একটি স্কুলে। ছবি: সন্দীপ পাল।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের স্কুলগুলিতে ১৬ নভেম্বর অফলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। তা-ও প্রথমে ক্লাস করবে শুধু নবম থেকে দ্বাদশ, এই চারটি শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু তার আগেই ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভের (ন্যাস) পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা অফলাইনে ক্লাস করল সোমবার। দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে স্কুলের ক্লাসে ফিরতে পেরে তারা যে বেজায় খুশি, সেটা জানাতে ভোলেনি তারা। স্কুলঘরে অফলাইনেই ১২ নভেম্বর ন্যাস পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের ন্যাস সেল ইতিমধ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে।
সারা দেশে স্কুল স্তরের পড়ুয়াদের পড়াশোনা কেমন এগোচ্ছে, দেশের সার্বিক পঠনপাঠনের মান কেমন ইত্যাদি বিষয়ে সমীক্ষা করে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সারা দেশের তিন হাজারের কিছু বেশি স্কুলপড়ুয়া ন্যাস পরীক্ষায় বসে। পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন স্কুলের তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় বসতে পারবে, তার তালিকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। অষ্টম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে। যে-সব স্কুলের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় বসবে, এ দিন অফলাইনে প্রস্তুতি-ক্লাস হয়েছে সেগুলিতেই। পরীক্ষার আগে আরও তিন দিন এই ক্লাস হবে।
কলকাতার বেলতলা গার্লস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ৩০ জন পড়ুয়া ন্যাস পরীক্ষা দেবে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন অষ্টম শ্রেণির কমবেশি ১০০ পড়ুয়া স্কুলে প্রস্তুতি-ক্লাস করেছে। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হবে। এ দিন কোভিড বিধি মেনেই ক্লাসে পড়ানো হয়েছে। দীর্ঘদিন বাদে অফলাইন-পাঠ খুবই উপভোগ করেছে মেয়েরা।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কাশীনাথপুর জেকে হাইস্কুলের শিক্ষক সুকুমার রানা জানান, তাঁদের স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা ন্যাস পরীক্ষায় বসবে। এ দিন ৪৫ জন পড়ুয়া প্রস্তুতি-ক্লাস করেছে। করোনা বিধি মেনে ক্লাস করতে পেরে তারা খুবই খুশি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের ঝাঁপবেড়িয়া হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া নাসিবুর রহমান মোল্লা ন্যাসের পরীক্ষায় বসবে। নাসিবুর বলে, “ক্লাস করার জন্য এত দিন বাদে স্কুলে যেতে খুব ভাল লেগেছে। ন্যাস পরীক্ষায় প্রশ্ন কেমন আসবে, কী ভাবে উত্তর লিখতে হবে, শিক্ষকেরা সেগুলোই শিখিয়েছেন। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ দিন ক্লাস হয়েছে।”