ফাইল চিত্র।
২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট বাতিল করল রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, চলতি অতিমারির কারণে ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। তিনি বলেন, “অতিমারির কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না। তাই উচ্চশিক্ষা পর্ষদ, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত সব ছাত্রছাত্রীকেই ২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে।”
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস জানিয়েছেন, এ বার টেস্ট না-হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে অন্তত ন’লক্ষ। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছর ১০ লক্ষের কিছু বেশি ছিল। এ বার টেস্ট না-হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে শিক্ষা শিবির। টেস্ট বাতিলের সিদ্ধান্তে পড়ুয়াদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। একাংশের মতে, টেস্ট হলে মূল পরীক্ষার প্রস্তুতি কতটা হয়েছে, বোঝা যায়। এ বার সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। অনেক পরীক্ষার্থী আবার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, করোনা আবহে টেস্ট বাতিল হওয়ায় সুবিধাই হল।
তবে শিক্ষকদের একাংশ অখুশি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, সরাসরি পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে পাঠানো হল। যাদের উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট দেওয়ার কথা ছিল, তারা কিন্তু একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও সমাপ্ত না করে সরকারের সিদ্ধান্তে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে একটি ক্লাসও করা সম্ভব হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের প্রস্তুতি যাচাই করার সুযোগই পেল না।