প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়াদের ঋণ কার্ড পেতে রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নথির বাইরে কিছু চাওয়া যাবে না। প্রশাসনের খবর, শনিবার একটি ভিডিয়ো-বৈঠকে জেলাশাসকদের এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই প্রকল্পে ন’টি নথি রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলির অনেকেই তার থেকে বেশি নথি চাইছে বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, নথির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে নবান্ন, ব্যাঙ্ক-সহ উপস্থিত সব পক্ষই সহমত।
প্রশাসনের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৮০০ জন পড়ুয়া ঋণ কার্ডের সুবিধা পেয়েছেন। তার আর্থিক মূল্য ১৯০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, ১৬, ৬০০ জন পড়ুয়ার আবেদনপত্র প্রাথমিক ভাবে গৃহীত হয়েছে। এঁদের প্রায় অর্ধেকের নথি জমা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ। বাকিদের নথি সংগ্রহে ১০ ডিসেম্বর জেলায়-জেলায় শিবির করা হবে। সেখানে চূড়ান্ত নথি জমা করতে পারবেন আবেদনকারীরা। আবেদন মঞ্জুর হলে ঋণ কার্ডের আর্থিক পরিমাণ হবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এ দিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রায় চার হাজার শিক্ষাবন্ধু প্রতি সার্কলে আবেদনকারীদের ঋণ কার্ডের ব্যাপারে পড়ুয়াদের সহযোগিতা করবেন। রাজ্যের কোনও নাগরিক পড়াশোনার সূত্রে বাইরে থাকলে তাঁর অভিভাবক ঋণ কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। ৬ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বড় করে শিবিরের পরিকল্পনা রাজ্যের। সেখানে ২৫ হাজার পড়ুয়াকে ঋণ কার্ডের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে পড়ুয়া ঋণকার্ড ছাড়াও বিশেষ ভাবে সক্ষম শিল্পী (ক্ষুদ্র-মাঝারি ক্ষেত্রে), মৎস্যজীবীদের ঋণ কার্ড দিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশ জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিকে।