—ফাইল চিত্র।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের ‘বিপদ’ বোঝাতে সব বাড়ি, বাজার, স্টেশন, চায়ের দোকানে যেতে হবে—সোমবার দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনকে এই কর্মসূচি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আপনাদের বলতে হবে, ‘‘আমরা নাগরিক। কারও দাস নই।’’
কেন্দ্র-বিরোধী এই আন্দোলনে তিনি যে দলের তরুণ প্রজন্মকে সামনে চান, এদিন নেতাজি ইন্ডোরে দলের ছাত্রযুবদের কর্মশালায় তা স্পষ্ট করে মমতা বলেন, ‘‘ছাত্রযুবদের রক্ত গরম থাকে। তারা আন্দোলন করবে। ছাত্ররা দাসখত দেওয়ার জন্য নয়।’’ এই সূত্রেই তিনি নিজের ছাত্র জীবনের রাজনৈতিক কাজকর্মের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে কোনওদিন ভয় পাইনি। আমরা তো অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছি। একবার তিনি বেরিয়ে গেলে রাস্তায়, ভবানীপুর থানার সামনে গাছের তলায় তাঁকে ফের ঘেরাও করেছি। এখন একটা ছোট ঘটনাও সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে দেখায় যেন কী হয়ে গেছে!’’ সেই সূত্রে তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘আন্দোলন করতে হবে। তবে আন্দোলন মানে বাস জ্বালানো নয়।’’
এদিনের সভায় বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ছাত্রযুবদের কাছে নিজের প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে নিঃস্বার্থে দুটো বছর দিন। আমি আপনাদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিয়ে যাব।’’ এদিনের সভায় মমতা জানিয়ে দেন, দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যব্যাপী এই ছাত্রযুব কর্মসূচির সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ টালা ব্রিজ, দেখে নিন বিকল্প রাস্তা
মুখ্যমন্ত্রী স্টেডিয়টাম ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বলে যান, কর্মশালা চালিয়ে যেতে। কিন্তু তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্টেডিয়াম ফাঁকা হতে শুরু করে। একসময় কার্যত হাতে গোনা কয়েকজন ছিলেন সেখানে।