ফাইল ছবি
শেষ পর্যন্ত কথাগুলো প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করেই বলতে হল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এর আগে দলের নেতাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে বাক্যবাণ ছোড়া থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন পার্থ। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। তার পরেও নেটমাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে বাক্যবাণ ছুড়ে গিয়েছেন দলের ছোট-বড় নেতা। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বাগ্যুদ্ধরত নেতাদের সাফ জানিয়ে দিলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও মন্তব্য বরদাস্ত করবে না তৃণমূল নেতৃত্ব।
পার্থ বলেন, ‘‘কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে প্রকাশ্যে একের পর এক মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কারও কোনও বক্তব্য থাকলে দলের মধ্যে বলুন।’’
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মত’ নিয়ে কল্যাণ-কুণাল বাগ্যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই বিতর্কে ঘি ঢালেন আরামাবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। দলের অন্দরের খবর, এর পরই কলকাতা থেকে ফোন করে তাঁকে সতর্ক করা হয়। দলের মহাসচিবও আলাদা করে কথা বলেন বিবদমান নেতাদের সঙ্গে। শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইন সে খবর প্রকাশ করেছিল। সেই সময় সাময়িক ভাবে কল্যাণ-কুণাল ‘বাগ্যুদ্ধ’ মিটলেও নেটমাধ্যমে পোস্ট করা করা জারি থাকে এর পরও।
ওই ঘটনার পর তৃণমূলের একাধিক যুবনেতা নেটমাধ্যমে শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্ট করতে থাকেন। এই ঘটনাপ্রবাহের পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার দলের নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়ে পার্থ বলেন, ‘‘মহাসচিব হিসাবে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তার পরেও কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, সমস্ত মন্তব্য, বিবৃতি এখনই বন্ধ করুন। আজই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে ছিলাম। নির্দেশ না মানলে কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’