লালুর মতো রথ রুখবেন, প্রশ্ন সূর্যের

নব্বইয়ের দশকে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রা রুখে দিয়েছিলেন বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। বাংলায় রথ নিয়ে বেরিয়ে বিজেপি অশান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করলে সেই যাত্রা আটকানোর ‘সৎসাহস’ দেখাক তৃণমূলের সরকার!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

নব্বইয়ের দশকে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রা রুখে দিয়েছিলেন বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। বাংলায় রথ নিয়ে বেরিয়ে বিজেপি অশান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করলে সেই যাত্রা আটকানোর ‘সৎসাহস’ দেখাক তৃণমূলের সরকার! এই সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। একই সঙ্গে তাঁর আহ্বান, বিজেপি রথযাত্রার নামে উত্তেজনা ছ়ড়ানোর ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ রাখলে বাম কর্মীরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, তাঁদের রথ রোখার মতো মিছিলের লোকবল বামেদের নেই!

Advertisement

পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার পেট্রল পাম্প ও তেল সংস্থার নানা দফতরের সামনে ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছিল বাম দলগুলি। কলকাতায় বাগবাজার, যোগাযোগ ভবন, গোলপার্ক, খিদিরপুর, বেহালার মতো কিছু জায়গায় ধর্না ছিল। গোলপার্কে ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার অবসরেই সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে রথযাত্রা করে মানুষের মধ্যে বিভাজন এবং মেরুকরণ তীব্র করার অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বিজেপির। ওঁরা মুখে যা-ই বলুন, উদ্দেশ্য সকলেই জানে। এর আগে আডবাণী রথ নিয়ে বেরিয়েছিলেন। লালুপ্রসাদ যাদব সেই রথ আটকে ওঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। তেমন কিছু ঘটলে এই রাজ্যের সরকারের যদি সৎসাহস থাকে, তা হলে সেই রকম পদক্ষেপ করে দেখাক।’’

তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘আডবাণীর রথের সময়ে লোকে ভাল করে বিজেপিকে চিনত না। এখন মানুষ সচেতন। ভগ্ন হৃদয়ে ওদের ভগ্ন রথ কিছু করতে পারবে না!’’

Advertisement

নভেম্বর-ডিসেন্বরে কোচবিহার, ফরাক্কা এবং সিঙ্গুর থেকে তিনটি পদযাত্রা করবে বামেরা। সিপিএমের কৃষক সভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠন ওই পদযাত্রার আয়োজক। তবে সব বাম সংগঠনই সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবে। সূর্যবাবু বলে রেখেছেন, ‘‘কৃষক, শ্রমিক, যুবকদের দাবি নিয়ে আমাদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। কিন্তু বিজেপি যদি রথযাত্রার নামে বিভাজন করে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করে, তা হলে প্রতিরোধ করতে হবে।’’ আগামী জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘটের প্রচার চালানোর পাশাপাশি বাম কর্মীরা রথযাত্রার বিরুদ্ধেও বলবেন বলে তাঁর বক্তব্য।

বিজেপির দিলীপবাবু অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আমাদের রথ আটকানোর মতো লোক ওঁদের আছে নাকি?’’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘‘ওঁরা সব ব্যাপারেই পিছিয়ে থাকেন। সব রাজ্যে পেট্রল, ডিজেলের দাম যখন কমতে শুরু করেছে, তখন ওঁরা ধর্নায় বসলেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement