—ফাইল চিত্র।
পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতেও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভার অনুমতি পেল না বিজেপি। পুরুলিয়ায় সভার জন্য মাঠের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বাঁকুড়ায় মেলেনি যোগীর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি।পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার ভাঙরা নবকুঞ্জ মাঠে এবং বাঁকুড়ায় যোগীর সভা হওয়ার কথা ছিল আজ, মঙ্গলবার। পরিস্থিতি সোমবার যা দাঁড়িয়েছে, তাতে আজ পুরুলিয়ায় যোগীর সভা অনিশ্চিত। আর বাঁকুড়ায় তাঁর সভা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে বিজেপি।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া সোমবারবলেন, ‘‘যে মাঠে ওই সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, সেটি রায়তি জমি। জমির মালিকদের একাংশ থানায় তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। সে জন্য ওই মাঠে সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’ জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘হেলিকপ্টার নামানোর জন্য় বেশ কিছু ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ জমা দিতে হয়। সেগুলি জমা না পড়ায় অনুমতি দেওয়া যায়নি।’’
তবে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, যাবতীয় নথি তাঁরা জমা দিয়েছিলেন। দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা সভা করার জন্য় প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি, অন্ডাল, কলকাতা বা বোকারোতে হেলিকপ্টার থেকে নেমে যোগীজি যদি সড়কপথে আসেন, আমরা ওই মাঠেই সভা করব।’’রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি এবং ওই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীও বলেন, ‘‘যোগীজি আসবেন। অন্ডাল বা ঝাড়খণ্ডে উনি নামবেন।’’
মঙ্গলবার যোগীর সভা হওয়ার কথা ছিল বাঁকুড়াতেও। সেটি বাতিল করেছে বিজেপি। দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বক্তব্য, ‘‘আমরা মহকুমাশাসক এবং জেলাশাসকের কাছে সভা এবং হেলিকপ্টার নামার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’
দু’দিন আগে রবিবারও হেলিকপ্টার নামার প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে সভা করতে আসতে পারেননি যোগী। শেষ পর্যন্ত টেলিফোনে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে রবিবারই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিষয়টিকে ‘গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আঘাত’ হিসাবে দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র করে যোগীজির সভা আটকানো হয়েছে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় তাঁর সভায় অনুমতি দেবে কি না, তা প্রশাসন লিখিত ভাবে জানাক।’’