আসাদুল্লার সূত্রে সালের খোঁজ চান গোয়েন্দারা

আসাদুল্লাকে মঙ্গলবার ভোরে চেন্নাইয়ের চেন্নাইয়ের থোরিয়াপক্কনম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে আজ, বৃহস্পতিবার তাকে কলকাতায় এনে তাকে তোলা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

c

বর্ধমানের খাগড়াগড়ে পাঁচ বছর আগেকার বিস্ফোরণের পর থেকে উধাও জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র জঙ্গিদের চাঁই সালাউদ্দিন সালে। এখনও তার হদিস পাননি গোয়েন্দারা। জেএমবি জঙ্গি আসাদুল্লা শেখের সূত্র ধরে এ বার সালের খোঁজ পেতে চাইছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। পুলিশি সূত্রের খবর, ২০১৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত গয়ায় সালের সঙ্গে থাকত আসাদুল্লা। সালের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে।

Advertisement

আসাদুল্লাকে মঙ্গলবার ভোরে চেন্নাইয়ের চেন্নাইয়ের থোরিয়াপক্কনম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে আজ, বৃহস্পতিবার তাকে কলকাতায় এনে তাকে তোলা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, অগস্টে গয়ায় ছিল আসাদুল্লা। ২৬ অগস্ট গয়া থেকে ইজাজ নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পরে আসাদুল্লা এ রাজ্যে পালিয়ে আসে। পরে স্ত্রীকে রেখে চেন্নাই চলে যায়। ২০১৮ থেকে চেন্নাইয়ের একটি ইটভাটায় শ্রমিকদের সুপারভাইজারি করছিল আসাদুল্লা। এ রাজ্যে জেএমবি জঙ্গিদের ধরপাকড় শুরু হওয়ায় দক্ষিণ ভারতকে কেন্দ্র করে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করছিল সে। এ-পর্যন্ত চেন্নাইয়ে অন্তত ১৪ জন বাঙালি যুবকের মগজ ধোলাই করে জঙ্গিদলে ভিড়িয়েছে আসাদুল্লা।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে সালের সঙ্গে আসাদুল্লা বেঙ্গালুরু পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে তারা গয়ায় ডেরা বাঁধে। ২০১৮-য় চেন্নাইয়ে ঘাঁটি গাড়ে আসাদুল্লা। তার কাছে যে-ফোন ও ল্যাপটপ মিলেছে, তাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে। এর আগে জেএমবি নেতা কওসরকে বেঙ্গালুরু থেকে পাকড়াও করার সময় জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে ডাকাতি করে সংগঠনের টাকা জোগাড় করেছে জঙ্গিরা। আসাদুল্লার কাছ থেকেও তেমনই কিছু নথি মিলেছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement