JMB Militant

এ বার চেন্নাই থেকে গ্রেফতার জেএমবি জঙ্গি বর্ধমানের আসাদুল্লা

এসটিএফ সূত্রে খবর, আসাদুল্লা বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা। জেএমবি সংগঠনে সে বীরভূমের ইজাজের সমসাময়িক। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়ে জেএমবি-র বীরভূম-বর্ধমান-মুর্শিদাবাদ মডিউলের সব সদস্যই এ রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণ ভারতে আশ্রয় নেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:২৯
Share:

c

জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি গোষ্ঠীর আরও এক প্রথম সারির নেতাকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। কলকাতা পুলিশের দাবি, বর্ধমানের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের আসাদুল্লা শেখ ওরফে রাজাকে মঙ্গলবার ভোর রাতে চেন্নাইয়ের থোরিয়াপক্কনম এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাড়িতে সে মাস তিনেক ধরে ভাড়া থাকছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রে খবর, আসাদুল্লা বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা। জেএমবি সংগঠনে সে বীরভূমের ইজাজের সমসাময়িক। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়ে জেএমবি-র বীরভূম-বর্ধমান-মুর্শিদাবাদ মডিউলের সব সদস্যই এ রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণ ভারতে আশ্রয় নেয়। ওই গা-ঢাকা দেওয়া সদস্যদের মধ্যে আসাদুল্লাও ছিল। ইজাজের মতোই সে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে নিজেও প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করে।

খাগড়াগড় পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি থিতিয়ে গেলে দলছুট হয়ে যাওয়া সদস্যদের একজোট করতে মাঠে নামে কওসর এবং সংগঠনের ‘নিউক্লিয়াস’ সালাউদ্দিন। সেই সূত্র ধরেই ফের সংগঠনে সক্রিয় হয় আসাদুল্লা। কওসরের পরিকল্পনামাফিক বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্য তৈরি করা সংগঠনের ধুলিয়ান মডিউলকে গড়ে তোলা, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বিস্ফোরণের পরিকল্পনার পিছনে যে দলটি কাজ করেছিল, তার মধ্যে আসাদুল্লাও ছিল। ইজাজের সঙ্গী হিসাবে সে কাজ করছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, চেন্নাইয়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকলেও এ রাজ্যে মাস কয়েক আগেই সে এসেছিল। পুরনো কয়েকটি ঘাঁটিতে গিয়ে সে সংগঠনের প্রতি ‘সহৃদয়’ কয়েক জনের সঙ্গে দেখাও করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের রেহাই​

ইজাজের অন্যতম সহযোগী কাশেমকে পাকড়াও করার পরেই উঠে আসে আসাদুল্লার নাম। কাশেমের কাছ থেকেই আসাদুল্লার চেন্নাইয়ের ডেরার হদিস পান এসটিএফের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, কাশেম গ্রেফতার হওয়ার পর কয়েক দিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল আসাদুল্লা। গোয়েন্দারা জাল পেতে রাখেন। এর পর নিজের ডেরাতে ফিরতেই তাকে পাকড়াও করা হয়। সে-ও জাল পরিচয়পত্র দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল চেন্নাইয়ে। তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: 'একাদশীতে রওনা দিয়েছিল বলেই আর্মস্ট্রংরা চাঁদে নামতে পেরেছিলেন', বললেন প্রাক্তন আরএসএস নেতা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement