Civil Services

Civil Service: আমলার পেশায় উৎসাহ দিতে জোর স্কুল স্তরে

সুরজিৎবাবু জানান, ৩৪০০ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে ২০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের দু’টি সংস্থার সঙ্গে মউ সাক্ষরিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র।

মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে সিভিল সার্ভিস সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করতে চায় রাজ্য সরকার। শনিবার রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের (এসএনটিসিএসএসসি) একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, শিক্ষা দফতর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করছে। জেলা স্তর থেকেই এ বিষয়ে জোর দিতে হবে।

Advertisement

মুখ্যসচিব জানান, সল্টলেকের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (এটিআই) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের দু’টি সেরা প্রশিক্ষণ সংস্থা প্রশিক্ষণ দেবে। রাজ্য সরকার প্রতি পড়ুয়া পিছু এক লক্ষ টাকারও বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বইপত্র থেকে অন্যান্য স্টাডি মেটেরিয়ালের জন্য পরীক্ষার্থীদের কোনও ব্যয় করতে হবে না। কারও আর্থিক সমস্যা থাকলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ৬০ জন পরীক্ষার্থী আবাসিক হিসেবেও প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

আগামী বছরের কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য ২০০ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়েছে। এ দিন থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সেই উপলক্ষেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএনটিসিএসএসসির চেয়ারম্যান সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র, স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন, বিধাননগরের কমিশনার সুপ্রতিম সরকার-সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকেরা।

Advertisement

সুরজিৎবাবু জানান, ৩৪০০ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে ২০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের দু’টি সংস্থার সঙ্গে মউ সাক্ষরিত হয়েছে।

তবে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বঙ্গসন্তানদের কম প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে। তিনি এ দিন বলেছেন, স্বাধীনতার আগে ও পরে বেশ কিছু সময় সিভিল সার্ভিসে বাংলার দাপট বজায় ছিল। কিন্তু পরে কয়েক দশক ধরে নানা কারণে সরকারি পরীক্ষা নিয়ে অনীহা দেখা দেয়। বর্তমানে রাজ্যের কোটায় যে পদ রয়েছে তার সব ক’টিতে বঙ্গসন্তান মেলে না। তাতে যুবক-যুবতীদের যেমন কর্মসংস্থান হয় না তেমন প্রশাসনেরও ক্ষতি হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement