রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে এ বারের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালকে চাইছে নবান্ন। পারস্পরিক সম্পর্কের কারণেই ২০২৪ সালে রাজভবনকে এড়িয়ে রাজ্য বাজেট প্রস্তাব করা হলেও এ বার পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত মিলেছে। এই ব্যাপারে বিধানসভা ও পরিষদীয় দফতর থেকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রথামতো রাজ্যপাল অধিবেশনের সূচনা করবেন বলেও শাসক শিবিরে আশা রয়েছে।
রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে বিরোধ নতুন কিছু নয়। তবে এ রাজ্যে গত কয়েক বছরে তা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে রাজ্যের শাসক দল মাঠেঘাটে সরব হয়েছিল, তা কার্যত নজিরবিহীন। এই চাপানউতোরে জড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সেই সম্পর্কে যে বদল এসেছে, তা সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি রাজ্যপালের চায়ের আসরের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে সপার্ষদ মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়েছিলেন। যদিও সেখানে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে ঢুকতে না-দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছিলেন এবং তার পরে সেই ব্যান্ড রাজভবনের অনুষ্ঠানে বাজিয়েছিল। তার পরে বাজেট অধিবেশনে আগের বছরের একেবারে বিপরীতে গিয়ে রাজ্যপালের উপস্থিতি নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে শাসক শিবির।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আগের অধিবেশনে রাজ্যপালের বক্তৃতা হয়নি কেন? এখন রাজ্যপাল ভাল হয়ে গেলেন? রাজ্যে ২০২৪ সালে রাজ্যপাল খারাপ, ২০২৫ সালে রাজ্যপাল ভাল?’’ এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। রাজ্যপালের ভাষণ-পর্ব মিটিয়ে, দু’দিন পরে অর্থাৎ ১২ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট।