কড়া নির্দেশিকা নবান্নের। নিজস্ব ছবি।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। তার প্রেক্ষিতে এ বার নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার অফিসে আসতেই হবে সরকারি কর্মীদের। ওই দু’দিন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের শো-কজও করা হতে পারে। শনিবার এ কথা জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার সরকারি কর্মীরা কাজে যোগ না দিলে তাঁদের কর্মজীবন থেকে এক দিন বাদ পড়বে। ধরানো হবে শো-কজও। তবে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন বা কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বা কারও বাড়িতে কেউ মারা গেলে, সেই পরিস্থিতিতে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখালে ছুটি মঞ্জুর হবে। ওই দু’দিন অন্য কোনও কারণে ছুটি নেওয়া যাবে না। নেওয়া যাবে না হাফ ছুটিও।
নবান্নের নির্দেশিকার পর আন্দোলনকারী সংগঠন কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডিএ বঞ্চনা গগনচুম্বী। সরকার হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। কর্মীরা ২১-২২ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কর্মীরা। একবারও তাঁদের ডেকে কথা বলল না সরকার। এখন বুঝতে পারছি, সরকার আসলে ভয় পাচ্ছে যাতে, কোনও ভাবেই এই আন্দোলন বড় আকার নিতে না পারে। সেই কারণেই এই ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দেখা মিলল।’’
রাজ্য বাজেটে ডিএ ৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেই এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সদস্যেরা বৃহস্পতিবার নব মহাকরণের সামনে প্রতিবাদ দেখান। সদ্য পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটের প্রতিলিপিও পোড়ান তাঁরা। সংগঠনের বক্তব্য, রাজ্য বাজেটে বকেয়া ডিএ-র কোনও উল্লেখ না-রাখা এবং চিরকুটের মাধ্যমে ৩% ডিএ দেওয়ার প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবিলম্বে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার (২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি) লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। তাদের বক্তব্য, মাত্র তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তারা মানছেন না। দাবি মেনে ৩৮ শতাংশ ডিএ মেটানোর আগে পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।