—প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে আর দু’মাসও বাকি নেই। অথচ বেশ কয়েকটি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে এখনও ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা ঢোকেনি।
অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ নামক এই প্রকল্পের টাকা নাকি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে ভুল অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এই কারণে কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়ার নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে তার বিবরণ দিয়ে স্থানীয় থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমির চার পরীক্ষার্থীর টাকা ঢুকেছে সল্টলেকের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চার গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘বাকি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও চার পড়ুয়ার ঢোকেনি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই)-এর অফিসে যোগাযোগ করলে জানা যায়, ওই চার জনের টাকা ভুল করে সল্টলেকের ব্যাঙ্কের অন্য চার জনের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। আমরা অবাক। এই ভুল হল কী করে? এ বিষয়ে উল্টোডাঙা থানায় লিখিত ডায়েরি করেছি।’’
যে চার পরীক্ষার্থীর টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গিয়েছে সেই সানিয়া আজাদ, শেখ জাহির, লিজা মাঝি এবং অর্নিশা শর্মা দাবি করেছেন, ফর্ম ভর্তির সময়ে সঠিক অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখেছিল তারা। সানিয়া বলেছে, ‘‘পরীক্ষা তো চলে এল। বন্ধুরা সব পুজোর আগেই টাকা পেয়ে গিয়েছে। ট্যাবের মাধ্যমে পড়াশোনা করার সুযোগ আর কবে পাব?’’
শ্যামবাজারের শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবকুমার বিশ্বাস জানাচ্ছেন, তাঁদের স্কুলের পাঁচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর টাকা অন্য ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে গিয়ে পৌঁছেছে। দেবকুমার বলেন, ‘‘শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পরীক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখতে আমরা ভুল করিনি। তবু কী ভাবে যে অন্য ব্যাঙ্কের অন্য কারও অ্যাকাউন্টে ওই টাকা চলে গেল, তা রহস্যই রয়ে গেল।’’
কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসের এক কর্তা অবশ্য কোথাও একটা ‘ডেটা এন্ট্রি’ বা তথ্য তোলার সময়ে ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। ওই কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্য জুড়েই কয়েকটি স্কুলে এ রকম হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। স্কুল যা যা তথ্য পাঠিয়েছে, সেই তথ্যই আমরা এন্ট্রি করে শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছি। আমাদের তরফে কোনও ভুল হওয়ার সম্ভবনা কম। তবু কী ভাবে যে এমন ভুল হল, কোন পর্য়ায়ে ভুল হল আমরা খতিয়ে দেখছি। যে সব ব্যাঙ্কে ওই টাকা গিয়েছে, সেই সব ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছি ওই টাকা যেন ছাড়া না হয়।’’
জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা অবশ্য দাবি করেছেন, যে পড়ুয়াড়া এখনও ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা দ্রুত ঢুকে যাবে।