—ফাইল চিত্র।
ব্যারাজ বা বাঁধ সংস্কারে বড় মাপের কর্মসূচি নিল রাজ্য সরকার। বিশ্বব্যাঙ্ক ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে এই কাজ করবে বলে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কংসাবতী, মশানজোড়, হিংলো, শিলাবতী প্রভৃতি নদী, তিলপাড়া বাঁধ, ব্রাহ্মণী ব্যারাজ, কুলতোড় ব্যারাজ এবং বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়ার যে-সব বাঁধ বা ব্যারাজের এত দিন সংস্কার হয়নি, সেগুলিকে এ বারের প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘‘রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে এই প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। বিভিন্ন পুরনো বাঁধ সংস্কার করে সেচের পরিমাণ বাড়ানোও অন্যতম লক্ষ্য,’’ এ দিন বলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেচসচিব নবীন প্রকাশ জানান, এই প্রকল্প রাজ্যের ফেজ়-২-এর অধীনে রয়েছে। ২০১৭ সালে রাজ্য বাঁধ-ব্যারাজগুলির ‘সেফটি অডিট’ বা সুরক্ষা-সমীক্ষা করিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই ৫০-৬০ বছরের পুরনো সব বাঁধকে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এতে ৩৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে। ৭০% খরচ দেবে বিশ্বব্যাঙ্ক এবং বাকি ৩০% দেবে রাজ্য। তার আগে ডিভিসি এলাকার জন্য সেচপথের সংস্কার করা হচ্ছে। বর্ষায় ডিভিসি জল ছাড়লে হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হয়। সেখানকার বিভিন্ন নদী-ক্যানাল সংস্কার করে ৪.৭ লক্ষ একর এলাকাকে বন্যার কবল থেকে মুক্তি দেওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, তাতে উপকৃত হবেন অন্তত ২৭ লক্ষ মানুষ। এই প্রকল্পে তিন হাজার কোটির মধ্যে ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক’ ও বিশ্বব্যাঙ্ক দেবে ৭০% টাকা। ৩০% দেবে রাজ্য। ২০২০ সালে কাজ শুরু হয়েছে, চলবে ২০২৫ পর্যন্ত।
প্রশাসনিক শিবিরের বিশ্লেষণ, বাঁধ সংস্কার কর্মসূচি আসলে ফেজ়-১-এর পরিপূরক। দুই পর্যায় মিলিয়ে অভিন্ন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য তিনটি। ১) রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ। ২) সেচসেবিত এলাকা বাড়ানো। ৩) বিভিন্ন সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ।